মরলে প্লেন পাঠিয়ে লাভ কী?” মোদির উপর ক্ষোভ উগরে বললেন ইউক্রেনে গুলিবিদ্ধ পড়ুয়া

(ভারতীয় দূতাবাসে বারবার যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি। দূতাবাস কর্মীরা নাকি পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে চলে গিয়েছে)

রুশ আগ্রাসনে যুদ্ধবিধস্ত ইউক্রেন। উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের সুমি শহর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মাইনাস তাপমাত্রায় জল নেই, খাবার নেই, বিদ্যুৎ নেই, মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট অব সুমি স্টেট ইউনিভার্সিটির হস্টেলে আটকে পড়েছেন প্রায় এক হাজার ভারতীয় পড়ুয়া। হস্টেলের কাছেই বিস্ফোরণ হয়েছে। রুশ সেনার বোমা-গুলিতে শহরের বাইরে রাস্তা-সেতু সব ভেঙে গিয়েছে। সেই ভিডিও পাঠিয়ে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে কাতর আর্জি, ‘‘আমাদের এখান থেকে নিয়ে যান। না হলে মারা পড়ব। আমরা নিজেদের চেষ্টায় বেরতে গেলেও মরতে হবে।”

এরই মাঝে আবার ভারতীয় পড়ুয়া হরজ্যোৎ সিং গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাও ভেঙে গিয়েছে হরজ্যোতের। তাঁকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয়নি। ট্যাক্সি ভাড়া করে কিয়েভ ছাড়ার চেষ্টা করলেও ফেরত পাঠানো হয় চেকপয়েন্ট থেকে। সেই সময় গাড়ি লক্ষ্য করে চলে এলোপাথাড়ি গুলি। তিনটি বুলেট ফুঁড়ে দেয় হরজ্যোৎ সিংয়ের কাঁধ, বুক এবং হাঁটু। সেই অবস্থাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা রাস্তায় পড়েছিলেন তিনি। তারপর অ্যাম্বুলেন্স এসে হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁকে। এরপর থেকে প্রায় এক সপ্তাহ হরজ্যোতের ঠিকানা ইউক্রেনের কিয়েভ সিটি হাসপাতাল। যেখান থেকে ভারতীয় দূতাবাসের দূরত্ব আধ ঘন্টারও কম। কিন্তু বারবার যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি। দূতাবাস কর্মীরা নাকি পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে চলে গিয়েছে।

হাসপাতালের বেডে শুয়েই রুশ আক্রমণের ভয়াবহতা টের পাচ্ছেন দিল্লির ছত্তরপুরের বাসিন্দা হরজ্যোত। ভিডিও কলে হরজ্যোতের ক্ষোভ এখন ভাইরাল। তাঁর কথায়, “দূতাবাস থেকে কোনও সাহায্য পাইনি। প্রতিদিন বলা হচ্ছে, সাহায্য আসছে। কোথায় সাহায্য? আমি দ্বিতীয় জীবন পেয়েছি। সেটা এভাবে নষ্ট করতে চাই না। গুলি খেয়ে পড়ে রয়েছি। সরকার কোথায়? আমার মৃত্যুর পর চার্টার প্লেন পাঠিয়ে লাভ কী?”

 

Previous articleWeather-kolkata : কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরের আকাশ, তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই
Next articleথাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আমরা করেছি”, মোদির মন্ত্রীর ভাষণ থামিয়ে মন্তব্য রোমানিয়ার মেয়রের