Entertainment: বিতর্কিত ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’যেন ছুঁয়ে গেল দর্শকের বিবেক!

পরিচালক তাঁর এই বিতর্কিত ছবিতে তুলে ধরেছেন প্রায় তিন দশক আগের ঘটনার প্রকৃত সত্য।

মুক্তি পেয়েছে বিতর্কিত ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’(The Kashmir Files),পরিচালনা করেছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। ছবি জুড়ে শুধুই কাশ্মীর আর ভয়ঙ্কর সুন্দর নৈসর্গিক চিত্রকে উপভোগ করার সুযোগ দেননি পরিচালক, বরং আড়ালে লুকিয়ে থাকা হিংস্রতার বাস্তব প্রতিচ্ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’(The Kashmir Files)। এই ছবি দেখতে দেখতে চোখে জল আসে অনেকের আবার নৃশংস দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন দর্শক। বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri) তাঁর এই ছবিতে তুলে ধরেছেন প্রায় তিন দশক আগের ঘটনার প্রকৃত সত্য।

‘দ্য কাস্মীর ফাইলস’ ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনুপম খের (Anupam Kher),মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty),দর্শন কুমার (Darshan Kumar),পল্লনী যোশীর মত দাপুটে অভিনেতা অভিনেত্রীরা। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জীবনের অনেক অজানা কথা নিয়ে সরব এই ছবি। বিতর্ক ছিল ছবি মুক্তি নিয়েও কিন্তু ছবি রিলিজ হতেই উচ্ছ্বাস নেট নাগরিকদের মধ্যে। হরিয়ানা সরকারের এক্সাইজ এবং ট্যাক্সেসন ডিপার্টমেন্টে পক্ষ থেকে যে অফিশিয়াল বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে আগামি ছমাস পর্যন্ত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিটি করমুক্ত থাকবে গোটা রাজ্যে।

ইপিএফে সুদের হার কমে ৮.১ শতাংশ, মোদি সরকারের সিদ্ধান্তে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত

এবার আসা যাক এই ছবির গল্প আর অভিনয়ের প্রসঙ্গে। প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে কথায় এই ছবিকে বোঝান প্রায় অসম্ভব। নির্মমতা নিষ্ঠুরতাকে যেভাবে ফুটিয়েছেন পরিচালক তা বাহবার যোগ্য। কাহিনির কেন্দ্রবিন্দু প্রবীণ পণ্ডিত পুষ্করনাথ (অনুপম খের), তাঁর পরিবারের সকলেই খুন হন। শুধু মাত্র বেঁচে থাকে তাঁর ছোট নাতি কৃষ্ণ(দর্শন)। স্বভাবতই পুষ্করকে আশ্রয় নেন উদ্বাস্তু ক্যাম্পে। প্রায় ৩২ বছর পর দাদুর চিতাভস্ম শ্রীনগরের পরিত্যক্ত বাড়িতে রেখে আসতে , তাঁর সঙ্গী হন তাঁর দাদুর চার বন্ধু, দুই পুলিশকর্তা (মিঠুন চক্রবর্তী ও পুণীত ইসার), এক সাংবাদিক ও এক প্রতিবেশী। কৃষ্ণের সঙ্গে এঁদের কথোপকথনের মধ্য দিয়েই অতীত ও বর্তমান উঠে আসে।

কাশ্মীরের পণ্ডিতদের এই গল্পে পরিচালক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়েছেন মানবতাবোধের সঙ্গে। একসময় কাশ্মীরে অধিকাংশ সরকারি উচ্চপদে কাজ করেছেন শিক্ষিত হিন্দু পণ্ডিতরা। মুসলমানদের রাগের অন্যতম কারণও হিসেবে এই বিষয়টিকেও তুলে আনা হয়েছে। অপ্রকাশিত বাস্তব কথাগুলো যেন চিত্রনাট্য আর তার বুননে দর্শককে ভাবতে শেখায়। এই ছবি শ্রীনগরের সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত তথ্য নিয়েও অনেক প্রশ্ন তোলে।

ছবির দৈর্ঘ্য প্রায় তিন ঘণ্টা। ভূস্বর্গ কাশ্মীর যে এখন প্রায় ভূ-নরকে পরিণত হয়েছে এই বিষয়কে আরেকটু কম সময়ের মধ্যে ধরতে পারলে ভালো হত। পাশাপাশি এখন কেমন আছে ভূস্বর্গ? কতটা শান্তি কাশ্মীর জুড়ে? ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার মানুষ ? পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri)সেদিকে একটু আলোকপাত করলে আরেকটু ভালো লাগত। পুষ্করের চরিত্রে অনুপম খের (Anupam Kher)এই ছবির প্রাণভোমরা। মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)পুলিশ অফিসার ব্রহ্ম দত্তর চরিত্রে বেশ আধিপত্য বজায় রেখেছেন। তবে সর্বোপরি যেটা বলতেই হয় যে এই ছবি সামাজিক দলিল, যা ছুঁয়ে যায় দর্শকের বিবেক।

 

Previous articleSunny Leone: বাংলাদেশে আসার অনুমতি মেলেনি সানি লিওনের
Next article“কায়দা করে জিতেছি”, নন্দীগ্রাম কারচুপি কাণ্ডে শুভেন্দুর পর্দাফাঁস রাজীব-জয়প্রকাশের