চার রাজ্যে জয়ের পর দেশে ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। সেইমতো ভারতের পাইকারি বাজারে ব্যাপক আকার নিল মুদ্রাস্ফীতি। রিপোর্ট বলছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৩.১১ শতাংশ হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দফায় দফায় এই মূল্যবৃদ্ধির জেরে মাথায় হাত সাধারণ মানুষের।
সম্প্রতি প্রকাশিত হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স(WPI) বা পাইকারি মূল্যের সূচক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গত জানুয়ারিতে দেশের মূল্যস্ফীতি ছিল ১২.৯৬ শতাংশ। এর আগে ডিসেম্বরে এই হার ছিল ১৩.৫৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে পৌঁছে গিয়েছে ১৩.১১ শতাংশে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকা এই মুদ্রাস্ফীতি অর্থনৈতিক নীতি প্রণেতাদের কাছেও মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রুড পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস, ধাতব জিনিস, কেমিক্যাল, কেমিক্যালজাত পণ্য, খাদ্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে গতবছরের তুলনায়। এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির হার ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগের। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পাইকারি বাজারে কতটা পড়েছে তা বোঝা যাবে আগামী মাসে প্রকাশিত রিপোর্টে। আর সেখানে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:Hardik Pandya: ‘আইপিএলে একটা বিষ্ময় হতে চলেছে, চমকের অপেক্ষায় থাকুন’, নিজের বোলিং নিয়ে বললেন হার্দিক
পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যের উপর মূল্যস্ফীতি ৯.৮৪ শতাংশ হয়েছে। জানুয়ারিতে এই হার ছিল ৯.৪২ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের উপর মূল্যস্ফীতি ৮.২ শতাংশ হয়েছে। জানুয়ারিতে এই হার ছিল ১০.৩৩ শতাংশ। সবজির উপর মূল্যস্ফীতি ৮.২ শতাংশ হয়েছে। জানুয়ারিতে এই হার ছিল ১০.৩৩ শতাংশ। জ্বালানির উপর মূল্যস্ফীতি ৩১.৫ শতাংশ হয়েছে। জানুয়ারিতে এই হার ছিল ৩২.২৭ শতাংশ। এদিকে নন ফুড আর্টিকেলের মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে প্রায় পাঁচ শতাংশ নন ফুড আর্টিকেল।