তপ্ত পাকিস্তান: প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইমরানকে ইস্তফার বার্তা সেনার

পাকিস্তানের(Pakistan) প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে চলতি মাসেই ইমরান খানের(Imran Khan) সরে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠছে। ইমরানের ইস্তফার তারিখও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কর্পোরেশনের(OIO) বৈঠকে পাক সেনার শীর্ষ আধিকারিকের তরফে ইমরান খানকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিনি যেন প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। যে সেনা আধিকারিকদের তরফে ইমরানকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন পাক সেনা প্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজবা।

পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পাক প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইমরান খানকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেনারেল বাজবা ও আরও ৩ ল্যেফটেন্যান্ট জেনারেল। সেনা প্রধানদের বৈঠকের পর ল্যেফটেন্যান্ট জেনারেল নদিম আঞ্জুম ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ইমরান খানকে আর কোনও রকম সুযোগ দিতে রাজি নন তাঁরা। প্রসঙ্গত, সরকার বাঁচাতে চেষ্টার অবশ্য কোনও কসুর করেননি ইমরান খান। তবে নিজের দল তেহরিক ই ইনসাফের একাধিক সাংসদ ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট দিতে উদ্যত হয়েছে। তবে ইমরানের আশা ছিল প্রাক্তন সেনা প্রধান রাহিল শরিফ হয়ত শেষ বেলায় ট্রাম্প কার্ড হয়ে উঠতে পারেন ইমরানের জন্য। তিনি বাজবার সঙ্গে সাক্ষাত করলেও সম্ভাবনার কোনও দিক দেখা যায়নি। পাশাপাশি গত শুক্রবার ইমরান খান নিজে বাজবার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তবে ইমরানের উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ পাক সেনা। প্রথমত, পাক সেনার তরফে ইমরানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তিনি যেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য না করেন। তবে ইমরান সে কথা শোনেননি। লাগাতার বিরোধীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন সংকটের মাঝে আমেরিকা ও ন্যাটোর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে ইমরানকে। সবমিলিয়ে পাক সেনা ইমরানের কার্যকলাপে রীতিমতো ক্ষুব্ধ।

আরও পড়ুন:Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট: কেন্দ্রকে অবস্থান জানানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

এদিকে ইমরানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আগামী ২৫ মার্চ পাক সংসদে আলোচনা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে ওইদিনই ইমরানের ভাগ্যপরীক্ষা হবে। কিন্তু পরিস্থিতি যা তাতে নিজের দলের সাংসদরাই ইমরানের বিরুদ্ধে সরব। এদিকে পাক আইন অনুযায়ী যদি কোনও সাংসদ নিজের দলের বিরুদ্ধে সংসদে ভোট দেন সেক্ষেত্রে সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। এই অবস্থায় ইমরান অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ সাংসদরা যদি তাঁকে সমর্থন করেন সেক্ষেত্রে দল তাদের ক্ষমা করে দেবে। উল্লেখ্য, পাক সংসদে সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজন ১৭২ আসনের। ইমরানের দলে রয়েছেন ১৫৫ আসন। অন্য একটি দলের সঙ্গে জোট বেধে সরকার গড়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে বিরোধীরা একত্রিত হওয়ায় তাদের বর্তমান আসন সংখ্যা ১৬৩। পরিস্থিতি যা তাতে ইমরানের ক্ষমতাচ্যুত হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

Previous articleনেত্রীর নির্দেশে পঞ্জিকা মেনে শুভক্ষণে মনোনয়ন বাবুলের, দিলেন বিরোধীদের কটাক্ষেরও জবাব
Next articleCovid Vaccine: রাজ্যে ১২ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম