লোকসানে থাকা সরকারি কোম্পানিগুলোর বিষয়ে শিগগিরই বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

সরকার চলতি আর্থিক বছরে, জীবন বীমা কর্পোরেশনের শেয়ার বিক্রি করে প্রায় ৮০হাজার থেকে ১ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত করা যায়নি।

দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে থাকা সরকারি সংস্থাগুলি(Government Organization) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার(Central Government)। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুই বড় কর্মকর্তা জানান, ভারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের (Ministry of Heavy Industry) অধীনে পরিচালিত কোম্পানিগুলো দিনের পর দিন লোকসানে আছে, তাহলে এসবের ভবিষ্যৎ কী হবে? সরকার (Government)ইতিমধ্যেই পর্যালোচনা করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বলছেন, যে এই সংস্থাগুলি সম্পর্কে সরকারের কাছে তিনটি বিকল্প রয়েছে।
প্রথমত, এ ধরনের সব কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া ।
দ্বিতীয়ত, এই কোম্পানিগুলির পুনর্গঠন করা।
তৃতীয়ত, শেষ বিকল্পটি হল বিলগ্নিকরণ৷

উল্লেখ্য, ৩১ মার্চ,২০২২-এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলিতে বিলগ্নিকরণের মধ্যে দিয়ে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছেও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। সরকার চলতি আর্থিক বছরে, জীবন বীমা কর্পোরেশনের শেয়ার বিক্রি করে প্রায় ৮০হাজার থেকে ১ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত করা যায়নি। সেক্ষেত্রে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রভাবে পুঁজি বাজারে মন্দা, এর প্রভাব পড়েছে সরকারের কোষাগারে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, কেন্দ্রীয় সরকার লোকসানে চলা অনেক সংস্থা বন্ধ করেছে। এর মধ্যে স্কুটার ইন্ডিয়া এবং ভারত পাম্প অ্যান্ড কম্প্রেসার লিমিটেড, ২০১৫ সালে তুঙ্গভদ্র স্টিল প্রোডাক্টস লিমিটেড, ২০১৬ সালে এইচএমটি ঘড়ি, এইচএমটি চিনার ঘড়ি এবং এইচএমটি বিয়ারিং অন্তর্ভুক্ত ছিল। পাবলিক এন্টারপ্রাইজ বিভাগের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২৯টি সরকারি কোম্পানি রয়েছে। যার মধ্যে বর্তমানে ১৭টি কোম্পানি চালু আছে । এই ১৭টি কোম্পানির মধ্যে ৬টি মুনাফায় এবং ১১টি লোকসানে রয়েছে। বাকি ১২টি কোম্পানির মধ্যে ৫টি কোম্পানি কাজ করছে না এবং ৭টি কোম্পানিতে তালা ।

বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, লাভজনক কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স প্রজেক্ট (ইন্ডিয়া) লিমিটেড, ব্রেথওয়েট, বার্ন অ্যান্ড জেসপ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, এইচএমটি লিমিটেড, এইচএমটি (ইন্টারন্যাশনাল) লিমিটেড, রিচার্ডসন অ্যান্ড ক্রুডস (১৯৭২) লিমিটেড এবং ব্রিজ অ্যান্ড রুফ কো. (ইন্ডিয়া) লিমিটেড । লোকসানকারী কোম্পানির যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে এইচএমটি মেশিন টুলস (যা এইচ এম টি লিমিটেডের একটি সহযোগী), রাজস্থান ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্সট্রুমেন্টস, ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (বি এইচ ই এল ), এন ই পি এ লিমিটেড, হিন্দুস্তান সল্টস লিমিটেড, সম্ভার সল্টস লিমিটেড, অ্যান্ড্রু ইউল অ্যান্ড কোং। লিমিটেড, হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড এবং সিমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড । ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড ২০২১ সালের ডিসেম্বরের ত্রৈমাসিকে ১৪ কোটি টাকার লোকসান রেকর্ড করেছে, যেখানে কোম্পানির গত বছরের একই সময়ে ২৫১ কোটি টাকার লোকসান হয়েছিল।

 

Previous articleসাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ‘কারহালের বিধায়ক’ অখিলেশ যাদব
Next articleDG: রামপুরহাটের ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ নেই, মৃত ৮: মনোজ মালব্য