মহারাষ্ট্রে(Maharastra) কংগ্রেসের(Congress) সঙ্গে জোট বেধে সরকার চালালেও বিজেপি(BJP) বিরোধী মহাজোটে এবার কংগ্রেসের ‘যোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল শিবসেনা। দলীয় মুখপত্র ‘সামনায়’ জোটের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, কংগ্রেসের আশায় বসে থাকলে সব বিরোধীনেতৃত্বদের একত্রিত করা সম্ভব হবে না। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) প্রশংসা করে শিব সেনা(Shiv Sena)। জানায়, কংগ্রেসের নিষ্ক্রিয় অবস্থায় যেভাবে বিরোধীদের একত্রিত করার কাজ করে চলেছেন মমতা তা প্রশংসাযোগ্য।
মুখপত্র সামনাতে লেখা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ইউপিএতে (UPA) আমূল পরিবর্তনের প্রয়োজন। শিব সেনার বক্তব্য, “কংগ্রেসের নেতৃত্ব না বদলালে সব বিরোধী দলকে একত্রিত করা সম্ভব নয়। কংগ্রেসের পারিবারিক বা অভ্যন্তরীণ কোনও বিবাদ থাকতেই পারে, কিন্তু সেটার জন্য অন্য বিরোধীরা ভুগবে কেন? কংগ্রেস নিষ্ক্রিয় ছিল বলেই বিরোধীদের একজোট করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হয়েছে মমতাকে। উনিই সব প্রগতিশীল শক্তিকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছেন।” এছাড়াও, ইউপিএতে কংগ্রেসের বিকল্প হিসাবে মোট ছ’ জনের নাম প্রস্তাব করেছে শিব সেনা। তাঁরা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পওয়ার, কেসিআর, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং এম কে স্ট্যালিন (MK Stalin)।
আরও পড়ুন:Srilanka: চরম আর্থিক সঙ্কট! কলম্বোতে প্রসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে শিবসেনার এই বক্তব্য নিশ্চিতভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ একটা সময়ে শিবসেনার স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, কংগ্রেসের নেতৃত্ব ছাড়া বিরোধী জোট সম্ভব নয়। তবে ৫ রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের বেহাল পরিস্থিতি শিবসেনার সিদ্ধান্তে যে বদল এনেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি, শিবসেনার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, তৃণমূল কখনওই বিরোধী জোটে কংগ্রেসের ভূমিকাকে অস্বীকার করেনি। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্ব লাগাতার ব্যর্থ হয়েছে। তারা বিরোধী নেতাদের একত্রিত করার চেষ্টা করছে না। সেকারণেই তৃণমূলকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হচ্ছে। সেটা অন্য দলগুলিও বুঝতে পারছে। এটা ভাল লক্ষণ।