বছরের প্রথম দিনে জমজমাট তারাপীঠ-দক্ষিণেশ্বর

তারাপীঠ থেকে দক্ষিণেশ্বর, পুণ্যার্থী ও ব্যবসায়ীদের ভিড়ে জমে উঠল বাংলা বছরের প্রথম দিন। মন্দির খোলামাত্র পুজো দিতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেল শুক্রবার। মন্দিরে ভিড় জমালেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি আজ থেকেই সম্পূর্ণভাবে খুলে দেওয়া হল বেলুড় মঠও।

পরিবারের শান্তি ও আরোগ্য কামনায় এদিন সকাল থেকেই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য অগুন্তি মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। এপ্রিল মাসের অসহ্য গরম উপেক্ষা করেও আজ পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন পড়ে।

তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ভোর চারটের সময় মায়ের মন্দির খোলার পর মাকে মহাস্নান করানো হয়। সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মঙ্গলারতি হয়। তারপরই ভক্তদের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হয়। দু’বছর পর পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের আবার এরকম ভিড় দেখা গেল। হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল গিরি বলেন, বাংলা বছরের শুরুতে খুব ভাল ব্যবসা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মদিনের ছুটি ছিল। ওদিন থেকেই ভিড় শুরু হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত টানা ছুটি। তারাপীঠে তাই বহু পর্যটক ও পুণ্যার্থী এসেছেন। উল্লেখ্য, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে নয়া খেরোর খাতায় নাম তোলা হয়। হয় হালখাতার উৎসব। লাল শালুতে মোড়া, মোটা মোটা নতুন ‘হালখাতা’ ঘিরেই আহ্লাদে মেতে ওঠে আমবাঙালি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মায়ের কোলে রাখা গণেশ ও লক্ষ্মীর পায়ে হালখাতা ঠেকিয়ে নেন। তারপর পুরোহিত মন্ত্রোচ্চারণ করে খাতার পাতায় স্বস্তিকা চিহ্ন এঁকে নববর্ষে হালখাতার সূচনা করেন। তবে পয়লা বৈশাখ মানে শুধু হালখাতাই নয়, আছে মিষ্টি-ক্যালেন্ডার-কার্ড-ঠান্ডা পানীয়র ব্যবসা। সেই সঙ্গে ফল-ফুল-পুজো-পুরোহিত। সব মিলিয়ে তাই বছরের প্রথম দিনেই জমজমাট হয়ে উঠল তারাপীঠ।

আরও পড়ুন- জলখাবার দিতে দেরি করার অপরাধে পুত্রবধূকে গুলি  শ্বশুরের

Previous articleবেহালাকাণ্ডের পর কড়া মনোভাব লালবাজারের, কলকাতার থানাগুলিকে বিশেষ বার্তা নগরপালের
Next articleজঙ্গলমহলে বড়সড় হামলার ছক মাওবাদীদের, আগামী ১৫দিন প্রশাসনিক মহলে জারি হাই অ্যালার্ট