সুশান্তর ডিপিতে প্রণব! খোঁচা দিয়ে তৃণমূল বলছে, “পাপ ঢাকার চেষ্টা”

সিপিএমের তথা বামেদের প্রবাদপ্রতীম নেতা প্রয়াত জ্যোতি বসু কিংবা তাঁর মন্ত্রিত্বকালের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যদের মতো নেতাদের পরিবর্তে একজন বিরোধী মতাদর্শের নেতার ছবি নিজের হোয়াটসঅ্যাপ ডিপিতে কেন রাখলেন সুশান্ত ঘোষ তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে

বিতর্কিত সিপিএম নেতা তথা বাম জমানার মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপের ডিসপ্লে পিকচারে (DP) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছবি জ্বলজ্বল করছে। প্রণব মুখোপাধ্যায় দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে বাংলার ও দেশের অন্যতম শীর্ষ কংগ্রেস নেতা ছিলেন।

আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনে নাবালিকাকে ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার ২
সিপিএমের তথা বামেদের প্রবাদপ্রতীম নেতা প্রয়াত জ্যোতি বসু কিংবা তাঁর মন্ত্রিত্বকালের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যদের মতো নেতাদের পরিবর্তে একজন বিরোধী মতাদর্শের নেতার ছবি নিজের হোয়াটসঅ্যাপ ডিপিতে কেন রাখলেন সুশান্ত ঘোষ তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।


ডিপিতে কেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছবি তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সুশান্ত ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘প্রণববাবু আমার পিতৃতূল্য। আমাকে পুত্রবৎ খুব স্নেহ করতেন। ওঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভাল ছিল। তাই ওঁর সঙ্গে তোলা একটি ছবি ডিপিতে রেখেছি প্রথম থেকেই। এটা ওঁকে শ্রদ্ধা জানানো।’’

এখানেই শেষ নয়। ডিপি প্রসঙ্গ উঠতেই সুশান্তর মন্তব্য, ‘‘সমাজমাধ্যম সব পারে! অবাম-বামকেও মেলাতে পারে!’’
এরপরই নিজের স্মার্টফোনে জমা রাখা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবি দেখিয়ে সিপিএম নেতা বলেন, ‘‘প্রণববাবু যখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন, সেইসময়ও তাঁর সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। উনি বীরভূমের বাড়িতে যখনই আসতেন, আমি যেতাম। শেষবার যখন বাড়ির দুর্গাপুজোয় এসেছিলেন, সেইসময় ওঁর সঙ্গে আমার অনেক ছবিই আছে। মাঝেমধ্যে দেখলে মন খারাপ হয়ে যায়। উনি এখন আমাদের মাঝে নেই সেটা ভাবতেও পারিনা।’’

সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূলের বিধায়ক তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা বলেন, ‘‘সুশান্ত ঘোষ যা পাপ করেছেন, তা ঢাকতেই একজন গুণী একজন মানুষের সঙ্গে নিজের ছবি দিচ্ছেন। কিন্তু এভাবে ওনার পাপ, অপরাধ ঢাকা দেওয়া যাবে না।’’

Previous articleFire:মা উড়ালপুলে আগুন, ব্যাহত যানচলাচল
Next articleমাঠ থেকে উদ্ধার তরুণীর ক্ষতবিক্ষত দেহ, আশঙ্কা ধর্ষণের পর খুন