ইউক্রেনকে অস্ত্রসাহায্য ন্যাটোর, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুমকি ক্ষুব্ধ রাশিয়ার

দু’মাস পেরিয়ে গিয়েছে অথচ যুদ্ধ থামার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না এখনও। বরং এই পরিস্থিতির মাঝেই এবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুমকি দিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। আর এই হুমকি দেওয়া হয়েছে আমেরিকা সহ ন্যাটোগোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে। কারণ ইউক্রেনকে সমর্থনের পাশাপাশি এই দেশগুলি অস্ত্রসাহায্য পাঠাচ্ছে জেলেনস্কিকে।

মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ আমেরিকা সহ ন্যাটোগোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে উদ্দেশ্য করে হুমকির সুরে বলেন, “রাশিয়াকে নিশানা করতেই ওই সমস্ত অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। মোদ্দা কথা, রাশিয়ার সঙ্গে ছায়াযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে ন্যাটোবাহিনী। আর যুদ্ধ মানে যুদ্ধই।” একইসঙ্গে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, “পরিস্থিতি গুরুতর হচ্ছে। তা কোনও মতে আর অস্বীকার করা যায় না।”

আরও পড়ুন:দাদার হাতে সংগঠনের রাশ নেই, হতাশায় বিজেপিতে অনীহা শুভেন্দু অনুগামীদের

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস এলাকায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। তবে লড়াই জারি রেখেছে ইউক্রেনও। প্রথম থেকেই মাটি আঁকড়ে পড়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এহেন অবস্থায় বিগত বেশ কিছু দিন ধরে আমেরিকা-সহ ইউরোপের বন্ধুরাষ্ট্রগুলির কাছে অস্ত্র সাহায্য দাবি করছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। প্রথম দিকে নেটোভুক্ত দেশগুলি এ বিষয়ে সাড়া না দিলেও এত দিনে অবস্থা বদলেছে। পরমাণু শক্তিধর রাশিয়ায় চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই সামরিক সাহায্য পাঠাচ্ছে বহু দেশ। পোল্যান্ডের তরফে ইউক্রেনকে সাঁজোয়া গাড়ি ও ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়েছে।

সম্মুখ সমরে না-এলেও ইউক্রেনে অস্ত্র সাহায্য পাঠাতে রাজি হয়েছে ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। দেরিতে হলেও অবস্থান বদলেছে আমেরিকা। গত সপ্তাহেই কিভে এসে জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করে আরও ৭কোটি ডলারের অস্ত্র সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন পেন্টাগনের প্রধান লয়েড অস্টিন। সফরে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি জিতবই— যুদ্ধে জিততে চাইলে প্রথমে এই আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন। আমরা বিশ্বাস করি ওরা (ইউক্রেন) জিতবে— ওরাও সেটা বিশ্বাস করে। প্রয়োজনীয় সমর্থন আর সরঞ্জাম পেলে ওরা জিতবেই।’’




Previous articleপাট শিল্পকে ধ্বংসের চেষ্টা, ফের অর্জুনের নিশানায় মোদি সরকার
Next articleদক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ট্রাস্টি নির্বাচন নিয়ে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে