দাদার হাতে সংগঠনের রাশ নেই, হতাশায় বিজেপিতে অনীহা শুভেন্দু অনুগামীদের

কারও কথা শুনে ব্ল্যাকমেল করে লাভ নেই। যতবড় নেতা হোক বা নেতার অনুগামী, কেউ বেরিয়ে গেলেও দলে তার কোনও প্রভাব পড়বে না

গোটা রাজ্য তো দূরের কথা, নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরেই (East Midnapore) “দাদা” শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) হাতে দলের সংগঠনের কোনও রাশ নেই। তাই বিজেপিতে(BJP) অনীহা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) অনুগামীদের।

অসমর্থিত সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এখনও যে গুটিকয়েক অনুগামী রয়েছে শুভেন্দুর(Suvendu Adhikari)  পাশে, তাঁরাও এখন হতাশ। শুধু তাই নয়, জেলায় দাদার অনুগামী হিসেবে পরিচিতরা সম্প্রতি একটি “গোপন বৈঠক” করেছেন। সেখানে বিজেপি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি শুভেন্দু অধিকারীর গোচরেও আনা হয়েছে বলে খবর। যদিও জেলা বিজেপির সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা রাজ্য সম্পাদক নবারুণ নায়েক স্পষ্ট জানিয়েছেন, কারা কোথায় বসে পড়ল তা নিয়ে দলের কোনও মাথাব্যথা নেই। সকলের মন রাখা সম্ভব নয়। কারও কথা শুনে ব্ল্যাকমেল করে লাভ নেই। যতবড় নেতা হোক বা নেতার অনুগামী, কেউ বেরিয়ে গেলেও দলে তার কোনও প্রভাব পড়বে না।

এদিকে তমলুক পুরসভা ভোটে বিজেপির নির্বাচন কমিটির কনভেনর ছিলেন শুভেন্দুর অনুগামী বলে পরিচিত সুকুমার বেরা। শুভেন্দুর কথায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। জেলায় মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণার পর অসন্তুষ্ট বিজেপি পার্টি করা ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর গাড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত শিশু সহ ২

সুতাহাটা ব্লকের আনন্দময় অধিকারী জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষের পদ ছেড়েশুভেন্দুর কথায় একটা সময় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। শুভেন্দু প্রভাব খাটিয়ে তাঁকে জেলা কমিটির সহ-সভাপতি করেছিলেন। মণ্ডল সভাপতি তালিকা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন আনন্দময়।

শুভেন্দুর হাত ধরে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ময়না ব্লকের গৌতম গুরু। মণ্ডল সভাপতিদের নাম পছন্দ না হওয়ায় গ্রুপ ছেড়েছেন গৌতমবাবু।

উল্লেখ্য, মণ্ডল সভাপতি নিয়ে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলা সংগঠনের মতো পূর্ব মেদিনীপুরেও বিজেপিতে অন্তর্কলহ চরমে। তালিকা পছন্দ না হওয়ায় হোয়াটসআপ গ্রুপ ছেড়ে বিদ্রোহ দেখিয়েছেন ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। তাঁকে সমর্থন জানিয়ে গ্রুপ ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও। এবার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের গোপন বৈঠকে পার্টি থেকে নিষ্ক্রিয় হওয়া বা দল ছাড়ার ইঙ্গিত রাজনৈতিকভাবে খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

Previous articleঅনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর গাড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত শিশু সহ ২
Next articleপাট শিল্পকে ধ্বংসের চেষ্টা, ফের অর্জুনের নিশানায় মোদি সরকার