অনিল-কন্যা অজন্তার দলত্যাগ: CPM-কে “মৌলবাদী” তকমা ক্ষিতি-কন্যা বসুন্ধরার

গতবছর তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় উত্তর সম্পাদকীয়তে বেশ কয়েকটি পর্বে সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অধ্যাপিকা অজন্তা বিশ্বাসের বাইলাইনে প্রতিবেদন বেরিয়েছিল

বাম জমানায় খুব সুখ্যাতির সঙ্গে মন্ত্রিত্ব পরিচালনা করেছিলেন প্রয়াত RSP নেতা ক্ষিতি গোস্বামী(Kshiti Goswami)। সেই ক্ষিতি গোস্বামীর কন্যা বসুন্ধরা ফের একবার বামফ্রন্টের (LeftFront)বড় শরিক CPM-কে তুলোধনা করলেন। আগেও একাধিক ইস্যুতে সিপিআইএমের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন বসুন্ধরা। এবার সরাসরি সিপিআইএমকে(CPIM) তিনি “মৌলবাদী”(fundamentalists)  দলের তকমা দিলেন।

কিন্তু কেন?

গতবছর তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় উত্তর সম্পাদকীয়তে বেশ কয়েকটি পর্বে সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের(Anil Biswas) কন্যা অধ্যাপিকা অজন্তা বিশ্বাসের(Ajanta Biswas) বাইলাইনে প্রতিবেদন বেরিয়েছিল। যার প্রশংসা শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) মুখেও। এবং যা প্রকাশিত হওয়ার পর রে রে করে ওঠেন আলিমুদ্দিনের ম্যানেজারেরা। অজন্তা ইস্যুতে কয়েকদিনের বিতর্কের পর তাঁকে সাসপেন্ড করে সিপিএম। তখনও অজন্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরা।

বিজেপির মুষল পর্বে নয়া অধ্যায়, সুকান্তর মহামিছিল এড়ালেন পুরুলিয়ার হাফ-ডজন বিধায়ক

সম্প্রতি জানা যায়, অজন্তা বিশ্বাস তাঁর পার্টি সদস্য পদ রিনিউ করাননি। অর্থাৎ, আপাতত ধরে নেওয়া যেতেই পারে অজন্তা বিশ্বাস সিপিএম ত্যাগ করেছেন। এ প্রসঙ্গে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বসুন্ধরা বলেন, “অজন্তা বিশ্বাসের সঙ্গে আমার সরাসরি কোনও আলাপ নেই। তবে এটুকু বলতে পারি তাঁর মতো একজন উচ্চশিক্ষিতা, বাস্তববাদী অধ্যাপিকার এমন সিদ্ধান্তে আমি খুশি। কারণ আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কোনও উচ্চশিক্ষিত মানুষ সিপিএম পার্টিতে থাকতে পারবে না। সিপিএম পার্টি করবে না। এই পার্টিতে কারও ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই। সিপিএম আর মৌলবাদী এখন সমার্থক। এই দলটি মৌলবাদীদের দল।”

অন্যদিকে, অজন্তা বিশ্বাসের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলও। অজন্তা বিশ্বাসের দলত্যাগ ইস্যুতে
বৃহস্পতিবার জাগোবাংলার সম্পাদকীয়তে সিপিএমকে তুলোধনা করা হয়েছে।। তৃণমূল মুখপত্রে দাবি করা হয়েছে, সিপিএম-এর অপসংস্কৃতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অজন্তা। শৃঙ্খলার নামে সিপিএম-এর অদূরদর্শিতা এবং আচরনের বিরুদ্ধে এটা অজন্তা বিশ্বাসের নীরব প্রতিবাদ। অজন্তা ইস্যুতে জাগোবাংলা সম্পাদকীয়তে “সিপিএম দুকান কাটা” বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে।

Previous articleশাহের বৈঠকে আমন্ত্রিতদের তালিকা ছোট করছে ক্ষমতাসীনরা, “নো-এন্ট্রি” মানবে না বিদ্রোহীরা
Next articleপ্রয়াগরাজকাণ্ড: শুক্রবার মানবাধিকার কমিশনের মুখোমুখি তৃণমূল কংগ্রেস