বিজেপির মুষল পর্বে নয়া অধ্যায়, সুকান্তর মহামিছিল এড়ালেন পুরুলিয়ার হাফ-ডজন বিধায়ক

সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে পুরুলিয়া স্টেশন থেকে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড পর্যন্ত একটি মহামিছিলের আয়োজন করেছিল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব

অমিত শাহের বঙ্গ সফরের আগে আরও প্রকট হচ্ছে রাজ্য বিজেপির অন্তর্কলহ। গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে চরম আকার ধারণ করেছে, ফের তার জলজ্যান্ত উদাহরণ পাওয়া গেল। এবার পুরুলিয়ায় রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মহামিছিল কর্মসূচি এড়িয়ে গেলেন দলের প্রায় হাফ-ডজন বিধায়ক।


আরও পড়ুন: Covid Update: ভয় ধরাচ্ছে করোনা! দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজারের গণ্ডি পেরোল


সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে পুরুলিয়া স্টেশন থেকে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড পর্যন্ত একটি মহামিছিলের আয়োজন করেছিল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু খুব তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই মিছিলে পা মেলালনি পুরুলিয়ার সুদীপ মুখোপাধ্যায়, জয়পুরের নরহরি মাহাতো, পাড়ার নদিয়ারচাঁদ বাউরি, রঘুনাথপুরের বিবেকানন্দ বাউরি, কাশীপুরের কমলাকান্ত হাঁসদা, বলরামপুরের বানেশ্বর মাহাতোর মতো বিধায়করা। গরহাজিরার কারণ জানতে এই ৬ বিধায়কের সঙ্গে জেলা নেতৃত্ব যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে দেখা যায় অনেকেই ফোন তোলেননি। মেসেজেও উত্তর মেলেনি।

এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, খোদ দলের রাজ্য সভাপতির নেতৃত্বে মহামিছিলেই এতজন বিধায়ক কেন এলেন না? এই প্রশ্নের অদ্ভুত উত্তর শোনা যায় সুকান্ত মজুমদারের গলায়। তিনি বলেন, ‘বিধায়করা কোনও কাজে ব্যস্ত ছিলেন হয়তো, তাই আসতে পারেননি। তবে তাতে মিছিলে কোনও প্রভাব পড়েনি। বিধায়ক দিয়ে আমাদের দলের সংগঠন চলে না। তাঁরা জনপ্রতিনিধি। তাঁদের কাজ আলাদা। বিজেপির সংগঠন বিধায়কের উপর নির্ভর করে না।’ খোদ রাজ্য সভাপতির এমন মন্তব্যে গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরায় স্তম্ভিত।

Previous articleCovid Update: ভয় ধরাচ্ছে করোনা! দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজারের গণ্ডি পেরোল
Next articleশাহের বৈঠকে আমন্ত্রিতদের তালিকা ছোট করছে ক্ষমতাসীনরা, “নো-এন্ট্রি” মানবে না বিদ্রোহীরা