অগ্নিমূল্য বাজার, মধ্যবিত্তের পাতে আর সবজি কই? 

বেগুন- পটল -বরবটি দিয়ে চারা মাছের ঝোল কিংবা বিউলির ডালের সঙ্গে ঝিঙে পোস্ত। বাঙালির চিরাচরিত গরমের দুপুরে ভাতের পাতের পদ হিসেবে এই রান্নাগুলি বহুপরিচিত। কিন্তু ইদানীং বাজারের যা অবস্থা তাতে এই পদগুলি এবার বইয়ের পাতাতেই সীমাবদ্ধ রয়ে যাবে  । আর খেয়ে বা চেখেও দেখতে হবে না। ২০০০ টাকা কিলোর পোস্ত তো কবেই মধ্যবিত্ত বাঙালিকে বিদায় জানিয়েছে। এবার সেই সারণিতে নাম লেখাতে চলেছে সবুজ শাকসবজি। আলু ৫০ টাকা, পিয়াজ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা , ঝিঙে ৭০ টাকা , বেগুন ৮০ টাকা । জ্যান্ত চারাপোনা ৩৫০ টাকা। মুরগির মাংস ২৮০ টাকা। সামান্য যে সবুজ নটে শাক তাই-ই ৫০ টাকা কেজি, লাউ শাক ৬০ টাকা কাঁচালঙ্কা ১৫০ টাকা। মানুষ যাবে কোথায় ? খাবেই বা কি ? আর মাস মাইনের টাকা থেকে বাঁচাবেই বা কী?

কেন বাজারের এই বেহাল অবস্থা? ব্যবসায়ীদের মতে সদ্য বেশ কয়েকটি ধর্মীয় পরব শেষ হয়েছে। ফলে বাজারে একটু টান তো থাকবেই । যোগান কম তাই দাম বেশি । সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের আকাশছোঁয়া দাম । ভ্যান ভাড়া থেকে শুরু করে গাড়ি ভাড়া সবকিছুই আগের তুলনায় বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে । তার প্রভাব নিত্যদিনের কাঁচাবাজারে পড়বেই।

 

 

Previous articleChina: এবার সীমান্তে হিন্দি দোভাষী নিয়োগ করছে চিনা সেনা
Next articleঋদ্ধিমানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ, দু’বছরের জন্য নির্বাসিত সাংবাদিক