যোগী রাজ্যে পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। এমনকি ললিতপুরের ধর্ষণের অভিযোগ লেখাতে গেলে পুলিশের কাছে নাবালিকাকে মারধর ও যৌন নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। এ বার আরও ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটল সেই ললিতপুরেরই। এ বার পরিচারিকাকে নির্মম ভাবে মারধরের অভিযোগ উঠল যোগীরাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এর থেকেই বোঝা যায় বিজেপি শাসিত যোগী রাজ্য কতটা নির্মম। শুধু তাই নয়, আইকন হিসেবে যে রাজ্যকে বিজেপি বেছে নিয়েছে, সেই রাজ্যে রক্ষকই ভক্ষক।
আরও পড়ুন:শাহি সাক্ষাৎ পেলেন অনন্ত মহারাজ, কী আলোচনা হল?
ললিতপুর জেলার মেহরাউনি এলাকায় সরকারি বাসভবনে এক পরিচারিকাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে এক কনস্টেবল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দিন কয়েক আগে চুরির সন্দেহে কনস্টেবল অংশু পটেল ও তাঁর স্ত্রী ওই পরিচারিকাকে মারধর করেন। ছাড় পাননি পরিচারিকার স্বামীও। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এর পর কোতয়ালি থানায় ওই পরিচারিকাকে নিয়ে যান কনস্টেবল অংশু। সেখানে আর এক দফা মারধর চলে। আর তাতে যোগ দেন এক মহিলা সাব-ইন্সপেক্টরও।
ঘটনাটি ঘটেছে চলতি মাসের ২ তারিখ। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ওই নির্যাতিতার পরিচারিকার আত্মীয় থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঘটনার কথা বলতে গিয়ে ওই পরিচারিকা জানান, ২ পুলিশ মিলে তাঁকে ঘর বন্ধ করে বেধড়ক পেটান। তাঁর কান্না যাতে বাইরে না শোনা যায়, তার জন্য কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে দেওয়া হয়। এর পর বেল্ট দিয়ে মারধর করা হয়।
দিন কয়েক আগে গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়ে থানারই মধ্যেই বড়বাবুর দ্বারা ফের ধর্ষিত হতে হয় এক বছর তেরোর নাবালিকাকে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ললিতপুরেই পুলিশের বিরুদ্ধে মহিলার বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠল। শুধু মহিলাকে নগ্ন করে মারধর নয়, পুলিশের কাছে যে অভিযোগ জানতে এসেছিলেন ওই মহিলা, সেই অভিযোগ যাতে চেপে দেওয়া যায়, তার জন্য পুলিশ পালটা তাঁর বিরুদ্ধেই মামলা করে। মামলা করা হয় ওই মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধেও।কনস্টেবলের পাশাপাশি মারধরের অভিযোগ ওঠে এক সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধেও।ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করেছে পুলিশ। তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে।