অপহরণ-গণধর্ষণের পর বিক্রি! যোগীরাজ্যে আবারও নারী নিগ্রহের নৃশংস ছবি

ফের যোগী রাজ্যে নারী নিগ্রহের ছবি। প্রয়াগরাজ, ললিতপুরে জট এখনও কাটেনি। এরইমধ্যে উঠে এল ঝাঁসিতে নারী নিগ্রহের নৃশংস ছবি। বিজেপি শাসিত আইকনিক রাজ্য উত্তরপ্রদেশে নিজের বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে বেরিয়েও রেহাই পেলেন না ১৮ বছরের তরুণী। অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয় ওই তরুণীকে। এরপরও মুক্তি মেলেনি। ধর্ষণের পর রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি হন ওই নির্যাততা। গোটা ঘটনায় আরও একবার যোগীরাজ্যের পৈশাচিক চিত্র আবারও ধরা পড়ল। অভিযোগ করেও এখনও শাস্তি পায়নি দোষীরা। প্রশ্ন উঠেছে, যোগীরাজ্যে কোথায় আইনশৃঙ্খলা? কেন মুখে কুলুপ এঁটেছেন যোগী-মোদি-শাহরা? দোষ করেও কেন শাস্তি পেল না রাজনৈতিক নেতা? কোথায় গেল তদন্তকারী স্পেশাল টিম?

আরও পড়ুন:ময়নাতদন্ত রিপোর্ট: হত্যা করে ঝোলানো নয়, গলায় ফাঁস লেগেই মৃত্যু কাশীপুরের বিজেপি যুবনেতার


পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, গত মাসে নিজের বিয়ে উপলক্ষে যাচ্ছিলেন নিমন্ত্রণ করতে।এমন সময় গ্রামেরই তিন যুবক তাঁকে অপহরণ করে।  প্রথম কয়েক দিন তাঁকে একটি জায়গায় রাখার পর এক রাজনৈতিক নেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর ওই রাজনৈতিক নেতা  কিছু দিন নির্যাতিতাকে নিজের কাছে রাখেন এবং তার পর মধ্যপ্রদেশের দাতিয়া জেলার এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে নির্যাতিতাকে ওই ব্যক্তির সঙ্গেই থাকতে বাধ্য করা হয়।


মধ্যপ্রদেশের দাতিয়াকে বেশ কিছুদিন থাকার পর নির্যাতিতা কোনওরকমে তাঁর বাবাকে ফোন করে সব কথা বলেন। এরপর পুলিশের সাহায্য নিয়ে নির্যাতিতাকে পাথারি গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়।


পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অপহারণ, গণধর্ষণ এবং বিক্রি করে দেওয়ার মামলা রুজু করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার বয়ান নথিভুক্ত করার কাজও সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও বলাই সার। এখনও কোনও রাজনৈতিক নেতা বা অন্য কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কোনও খবর মেলেনি।

Previous articleময়নাতদন্ত রিপোর্ট: হত্যা করে ঝোলানো নয়, গলায় ফাঁস লেগেই মৃত্যু কাশীপুরের বিজেপি যুবনেতার
Next articleনা ফেরার দেশে চলে গেলেন কিংবদন্তি সন্তুরবাদক শিবকুমার শর্মা