ভর্তি চলছে, বিশ্বমানের ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যুবরাজ সিং সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে (YSCE)

কলকাতার মার্লিন রাইজে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার যুবরাজ সিং কর্তৃক পরিচালিত যুবরাজ সিং সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে ক্রিকেট উৎসাহীদের জন্য ভর্তি শুরু হয়েছে৷

যুবরাজ সিং সেন্টার অফ এক্সেলেন্স কলকাতায় তাঁর প্রথম আকাডেমি খোলার ঘোষণা করে কিছুদিন আগেই। কেন্দ্রটি তৈরি হয়েছে মার্লিন রাইজ-এর খেলাধুলার থিমযুক্ত গ্রীনফিল্ড টাউনশিপে – যেটি রাজারহাটের চৌমাথার কাছে নির্মিত কলকাতার প্রথম স্পোর্টস টাউনশিপও বটে। কেন্দ্রটিতে ভর্তি এবং প্রশিক্ষণ লাভ বিষয়ে বিশদ বিবরণের জন্য, অভিভাবকরা 033 40922344 / 9667033811 নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

এছাড়া YSCE মার্লিন গ্রুপের সহযোগিতায়, আগামী 20 থেকে 22 মে পর্যন্ত একটি বিনামূল্যের ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পের আয়োজন করেছে৷ এই শিবিরের মাধ্যমে, পেশাদার প্রশিক্ষকদের দ্বারা উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। সবচেয়ে সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীদের এক বছরের বৃত্তিও দেওয়া হবে।

মার্লিন গ্রুপ, ভারতের নেতৃস্থানীয় রিয়েল এস্টেপ সংস্থা ভারতের ক্রিকেট আইকন যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই অত‍্যাধুনিক ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে পেরে গর্বিত।এই অত্যাধুনিক আকাডেমি পেশাদার কোচের একটি দলের নির্দেশনায়, অতি-আধুনিক সুবিধার মাধ্যমে বাংলার উদীয়মান ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ক্রিকেটারদের লালন-পালন ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

যুবরাজ সিং সেন্টার অফ এক্সেলেন্স (YSCE) এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি, মার্লিন রাইজ রোনালদিনহোর “R10 ফুটবল আকাডেমি”, – মাইকেল ফেলপসের “মাইকেল ফেলপস সুইমিং আকাডেমি “এবং বিখ্যাত বলিউড অভিনেতা টাইগার শ্রফের “MMA ম্যাট্রিক্স ট্রেনিং সেন্টার”-তৈরি করবে। YSCE, একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ 360-ডিগ্রি স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট, যেখানে খেলোয়াড়দের পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জনের জন্য তাদের সর্বাধিক সম্ভাব্য সকল সুবিধা প্রদান করা হবে।

একাডেমির লক্ষ্য হল উদ্যমী এবং আবেগপ্রবণ তরুণদের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সুযোগ লাভের জন্য সঠিক প্রশিক্ষণ কৌশলের মাধ্যমে ক্রিকেটের ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের জন্য একটি অতুলনীয় সুযোগ প্রদান করা, যা ব্যক্তিকে উন্নয়নের দিকে পরিচালিত করবে।

যুবরাজ সিং একবার ব্যাখ্যা করেছিলেন, “আমাদের দেশের তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেক প্রতিভা রয়েছে এবং এই প্রতিভাকে সঠিকভাবে লালন করা গুরুত্বপূর্ণ। এই একাডেমীর মাধ্যমে, কোচদের প্যানেল প্রশিক্ষণরত তরুণদের গাইড করার চেষ্টা করবে যাতে তারা এই খেলায় দীর্ঘ ইনিংসের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য তাদের কৌশলগুলিকে সূক্ষ্মভাবে করায়ত্ত করতে পারে। আরও গুরুত্বপূর্ণ, আমরা আমাদের মাঠের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তাদের একটি শক্তিশালী মানসিকতা এবং গেমের বোঝার বিকাশে সহায়তা করার জন্য উন্মুখ।”

একাডেমি উদীয়মান প্রার্থীদের আউটডোর এবং ইনডোর উভয় প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রদান করবে।
এই অ্যাসোসিয়েশনের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে, মার্লিন গ্রুপের পরিচালক সাকেত মোহতা বলেছেন, “মার্লিনে আমরা ক্রিকেট আইকন যুবরাজ সিং এবং তার আকাডেমি YSCE-এর সঙ্গে যুক্ত করতে পেরে গর্বিত। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের খেলার মাঠে ফিরিয়ে আনার জন্য অপেক্ষা করছেন বিশেষ করে মহামারীর কারণে 2 বছরের বিরতির পর। আমি নিশ্চিত যে, এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সাফল্য লাভ করবেই”।

“যুবরাজ সিং সেন্টার অফ এক্সেলেন্স (YSCE) হল ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের বহু বছরের পরিশ্রম ফসল। মার্লিন রাইজ-স্পোর্টস রিপাবলিক-এ যুবরাজ সিং সেন্টার অফ এক্সেলেন্স (YSCE) স্থাপনের জন্য মার্লিন গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত। পূর্ব ভারতে এটাই হবে আমাদের প্রথম আকাডেমি। আমরা প্রতিটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ক্রিকেটারকে একদম নীচু স্তর থেকে সর্বোচ্চ মানদণ্ডে পরিণত করার আকাঙ্খা রাখি।” দাবি যুবরাজ সিং সেন্টার অফ এক্সেলেন্সের সিওও সিমার জিত সিং-এর। এর পাশাপাশি “ক্রিকেট হল ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা এবং এখানে প্রতিভার কোন অভাব নেই। তবে, আমি বাংলায় একটি উদীয়মান ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছি। এটি আমাকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ব্র্যান্ডগুলির প্রতিভা লালন ও বৃদ্ধির জন্য একটি বিশ্ব-মানের ক্রীড়া পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে YSCE আমাদের রাজ্যের প্রতিভাকে পুষ্ট করবে এবং তাদের পরিপূর্ণতার পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাবে। একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট হিসাবে, আমাদের একটি প্রকল্প স্থাপনের স্বপ্ন ছিল যা আমাদের সমাজকে সর্বজনীনভাবে সেবা পরিবেশন করবে।” যোগ করেছেন সাকেত মোহতা, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, মার্লিন গ্রুপ।

আরও পড়ুন- Ravindra Jadeja: সিএসকের সঙ্গে কী সম্পর্ক ছেদ করার পথে হাঁটেছেন জাদেজা?

Previous articleRavindra Jadeja: সিএসকের সঙ্গে কী সম্পর্ক ছেদ করার পথে হাঁটেছেন জাদেজা?
Next articleফিল্ম রি-রিলিজ – “অপরাজিতা”