অধ্যক্ষ হতে চেয়ে আবেদনপত্রের পাহাড় কমিশনের দফতরে

রাজ্যে সরকার পোষিত ডিগ্রি কলেজ আছে ৫৫০ টি। বছর দশেক আগে অধ্যক্ষ ছিলেন প্রায় একশো জন। বাকি পদগুলিতে একসময় ফাঁকাই যেত। কিন্তু এখন চিত্রটা অনেকটাই বদলেছে। রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অধ্যক্ষ নিয়োগ করার বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই ভুড়ি ভুড়ি আবেদন জমা পড়েছে কমিশনে। যা এককথায় নজিরবিহীন বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকরা।


আরও পড়ুন:উল্টোডাঙায় বন্ধ একাধিক রুটের অটো, চূড়ান্ত হয়রানি যাত্রীদের



কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহুর্তে ৮০টি কলেজে পদ খালি রয়েছে। এই শূন্যপদ গুলিতে অধ্যক্ষ নেওয়ার জন্যি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। ১০ মে থেকে অধ্যক্ষ পদে আবেদন গ্রহণ করছে কমিশন। চলবে ১০ জুন পর্যন্ত। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষদিনের বহু আগে থেকেই শ’খানেক আবেদনপত্র কমিশনে জমা পড়েছে।


পরিসংখ্যান বলছে, গত ছ’বছরে ৩২৬ জন অধ্যক্ষকে নিয়োগ করেছে কমিশন। এখন কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ বছর। আগে যা ছিল ৬০। কমিশন জানিয়েছে, চলতি বছরে দুর্গোৎসবের আগে অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে। রাজ্যে আর কোনও কলেজ অধ্যক্ষহীন থাকবে না। উল্লেখযোগ্যভাগে এবার শুধু কলেজের শিক্ষকরাই নন গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাও কলেজ অধ্যক্ষ হতে আবেদন করছেন।


অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য স্নাতকোত্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর, পিএইচডি এবং ১৫ বছরের ন্যূনতম অভিজ্ঞতা লাগে। এবার নতুন শর্ত, অধ্যক্ষ হতে হলে গবেষণায় অন্তত ১০ টি প্রকাশিত পেপার থাকতে হবে। এছাড়াও এবার আবেদনকারীর প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা খতিয়ে দেখে কলেজের দায়িত্ব দেবে কমিশন।অধ্যক্ষ নিয়োগে সমস্ত শর্ত পূরণের পর ইন্টারভিউ নেবেন উপাচার্যরা।

Previous articleমোদি জমানায় ভয়াবহ মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অসমে অনশন কর্মসূচি তৃণমূলের
Next articleKusal Mendis: ম‍্যাচ চলাকালীন বুকে ব‍্যথা, হাসপাতালে ভর্তি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার কুশল মেন্ডিস