মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে মানসিক স্বাস্থ্যের রিপোর্ট জরুরি, বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

Supreme Court

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর(death sentence করার আগে দোষীর মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টির দিকেও নজর দিতে হবে। দেখতে হবে অপরাধের সময় ওই ব্যক্তির মানসিক অবস্থা কেমন ছিল। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের(Madhya Pradesh) একটি মামলার এমনটাই জানালো দেশের শীর্ষ আদালত(supreme court)।

২০১১ সালে মধ্যপ্রদেশের নৃশংস খুনের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত ৩ যুবক-যুবতীর সাজা কমিয়েছে শীর্ষ আদালত। ভাল আচরণের জন্য মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাদের ২৫ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই তিন জনের একজন জেল ক্রিকেট টিমে অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছিল এবং নিজের পরিবারের ওপর বাড়তি নজর দিতে শুরু করে, দ্বিতীয় জন্য জেলের স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন এবং তৃতীয় জন, যিনি এক মহিলা হস্তশিল্পের কাজে নিজেকে পারদর্শী করে তুলেছেন। আদালতের তরফে বলা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড শুধুমাত্র বিরলতম বিরল ক্ষেত্রেই দেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন:মহিলাদের কর্মসংস্থানে সব রাজ্যকে পিছনে ফেলে দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা

সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি ইউইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট ও বেলা ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, দায়রা আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগে অভিযুক্তের মনস্তাত্ত্বিক এবং মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়ন করতে হবে। দেখতে হবে অপরাধ করার সময় ওই ব্যক্তির মনে অবস্থা কী ছিল। এছাড়াও সর্বোচ্চ আদালতের তরফে রাজ্যকে অভিযুক্তদের বয়স, পারিবারিক অবস্থা, অপরাধে পূর্বের যোগ, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অন্য তথ্য একসঙ্গে করারও নির্দেশ দিয়েছে। জেল সুপার কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার যিনি থাকবেন, তাঁকে অভিযুক্তের জেলে আচরণ, কারাগারে করা কাজ এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির জড়িত থাকার প্রমাণ আদালতে পেশ করতে হবে। সেখানে কারাগারে থাকাকালীন সংস্কারমূলক অগ্রগতি হয়েছে কিনা, তার রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি ভাট রায় দিতে গিয়ে বলেছেন, বাস্তব পরিস্থিতি হল, এইসব নথি বেশিরভাগ সময়েই অনুপস্থিত থাকে।




Previous articleকরোনাকালে আরও প্রকট ধনী-দরিদ্র অর্থনৈতিক বৈষম্য
Next articleপুতিনকে হত্যার ছক, কপালজোরে প্রাণরক্ষা রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের