‘কে.কে-র মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক, এতে কারোর দোষ নেই’, বাংলায় আবার আসার কথা জানালেন সঙ্গীতশিল্পী পঙ্কজ উদাস

সম্প্রতি, কলকাতার নজরুল মঞ্চে কলেজের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার পর হোটেলে ফিরে আকস্মিক মৃত্যু হয় বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কেকে-র। তাঁর এই অকাল প্রয়াণে  বিভিন্ন মহলে যেমন শোকের ছায়া নেমে এসেছে, ঠিক একইভাবে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমনকি গুঞ্জন উঠেছে, বাইরে থেকে শিল্পীরা কলকাতায় আর অনুষ্ঠান করতে চাইবেন না। তবে এমন জল্পনা উড়িয়েই শনিবার কলকাতায় আসেন সঙ্গীতশিল্পী পঙ্কজ উদাস। জানালেন, কলকাতায় পারফর্ম করার অনুভূতিই আলাদা।



আরও পড়ুন:কেকে-এর মৃত্যুতে কি সিবিআই তদন্ত ? মামলা দায়ের করার অনুমতি কোর্টের


গত শনিবারই কলকাতায় Our Children Foundation-র জন্য ‘জসবা’ বলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সঙ্গীতশিল্পী পঙ্কজ উদাস। কে.কে’র মৃত্যু সম্পর্কে তিনি বলেন, ” আমি বলতে চাই কেকে-র সঙ্গে যা হয়েছে তা একটা বড় দুর্ঘটনা। একে নিয়তি বলা চলে। যা মানুষের হাতে নেই, তা ঈশ্বরের হাতে। এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। আমি কলকাতায় ৪০ বছর ধরে আসছি। সঙ্গীতের প্রতি বাংলার মানুষ যেভাবে শ্রদ্ধাশীল তা অস্বীকার করা যায় না। ৪০ বছরে বাংলার বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমি বলতে পারি না এখানকার মানুষ খারাপ। কলকাতায় পারফর্ম করার অনুভূতিই আলাদা হয়।”


সঙ্গীতশিল্পী কে কে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেকে আমার খুব প্রিয় এবং অসাধারণ একজন শিল্পী। ভারতীয় সঙ্গীতের জগতে ওঁর অবদান অনস্বীকার্য। আমি মনে করি, সঙ্গীতের জগতের সমস্ত বন্ধুরা আমার সঙ্গে সহমত হবেন, যে কেকের মৃত্যুতে কলকাতার কোনও দোষ নেই। এর জন্য বাংলার সরকারের কোনও দোষ নেই। এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এর অর্থ এই নয় যে আমরা কলকাতা আসা বন্ধ করে দেব। আমি কলকাতাতে ভালোবাসি, আমি কলকাতার শ্রোতাদের  ভালোবাসি, বাংলার সঙ্গীতপ্রেমীদের ভালোবাসি।”


প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার নজরুলমঞ্চে অনুষ্ঠান করার পর অসুস্থ বোধ করেন কেকে। অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরে গিয়ে ঘটে যায় অঘটন। তাঁর ম্যানেজারের দাবি অনুয়ায়ী, হোটেলের ঘরে ঢুকে তিনি পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় CMRI হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক।

Previous articleশুভেন্দুর জন্য বিজেপিতে মানসিক সমস্যায় দিলীপ ঘোষ! কেন এমন দাবি করলেন মদন
Next articleদুর্গাপুজোয় কেকে-র শেষ কনসার্ট হবে উত্তর কলকাতায়