অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে এখনো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বিহারের। পরিস্থিতি যাতে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেজন্য বিহারের ১২টি জেলায় ইন্টারনেট, মোবাইল ও টেলিফোন পরিষেবা বন্ধ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত এই জেলাগুলির ইন্টারনেট ও টেলিকম পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে ওই বারোটি জেলাকে রাজ্যের বাকি অংশের থেকে কিছু সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহারের স্বরাষ্ট্র দফতর। যে জেলাগুলিকে বিছিন্ন করে দেওযা হয়েছে সেগুলি হল : কাইমুর, ভোজপুর, ঔরঙ্গাবাদ, রোহতাস, বক্সার, নওয়াদা, পশ্চিম চম্পারন, সমস্তিপুর, লক্ষীসরাই, বেগুসরাই, বৈশালী এবং সরান।

ইতিমধ্যেই অশান্তি তৈরির প্রচেষ্টা, গাড়ি ভাঙচুর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশের ছোড়া পেলেট গুলিতে ১৩ থেকে ২০ জন জখম হয়েছেন বলে খবর। রেল মন্ত্রকের তরফ থেকেও সরকারি সম্পত্তি ক্ষতির একটি হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে।

ভারতীয় রেলের মোট ক্ষতি হয়েছে ৩,২৯,৯৭,৭২৫ টাকা! রেল জানিয়েছে, শুধু স্মোক গ্লাস ভেঙেই ক্ষতি হয়েছে ৪ লক্ষ টাকার বেশি। জানলার কাঁচ ভেঙে মোট ক্ষতির পরিমাণ ৫ লক্ষের কিছু বেশি। সমস্ত আসন পুড়ে গিয়ে ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার! ট্রেনে সফরকালে যে সাদা চাদর বালিশ ও তোয়ালে দেওয়া হয় তার ক্ষতির পরিমাণ ১১ লক্ষ টাকার বেশি।
