শুরুতে অনুচিত মনে হলেও দেশগঠনে অন্যতম ভূমিকা নেবে: অগ্নিপথ প্রসঙ্গে মোদি

অগ্নিপথ(Agnipath) প্রকল্পকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে উত্তাল গোটা দেশ। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই সোমবার নাম না করে এই ইস্যুতে মুখ খুললেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। সোমবার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানালেন, “কিছু কিছু সিদ্ধান্ত শুরুতে অনুচিত মনে হতে পারে কিন্তু পরে এই সিদ্ধান্তই দেশগঠনে অন্যতম ভূমিকা পালন করে।” যদিও একটি বারের জন্যও নিজের বক্তব্যে অগ্নিপথের নাম উচ্চারন করেননি তিনি।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি গোটা দেশে। কিছু সংগঠন আজ ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে। বিক্ষোভের জেরে অন্তত পাঁচ শতাধিক ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে রেলকে। অগ্নিপথ যোজনা ঘোষণার পর থেকে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতায় দেশের সম্পত্তির বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। বিক্ষোভ সামলাতে সিআরপিএফ ও অসম রাইফেলসে অগ্নিবীরদের চাকরির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফে। বাড়ানো হয়েছে বয়স সীমাও। পাশাপাশি ভারতীয় নৌবাহিনীর অগ্নিবীরদের জন্য মার্চেন্ট নেভিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছে। এ জন্য ছয়টি সার্ভিস রুটও অন্তর্ভুক্ত করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রক। যদিও কোনও কিছুতেই বিক্ষোভের আগুন নিভছে না।

বিরোধীদের তরফে এহেন পদক্ষেপকে সেনার অপমান বলে তোপ দাগা হয়েছে। এদিন এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই প্রকল্প তো আর্মি ডিপার্টমেন্ট থেকে ঘোষণা হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক করেছে। অগ্নিবীর তৈরির নামে আসলে বিজেপির ক্যাডার তৈরি করা হবে। চার বছর পর চাকরি চলে গেলে তোমাদের বাড়ির লোকেরও চাকরি চলে যাবে। কিসের অগ্নিপথ? আমি কারও চাকরি খেতে দেব না।” এরপর তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “মুখরক্ষার জন্য সেনাকে সামনে আনা হয়েছে। চার বছর পর কী হবে তা কেউ জানে না। কিন্তু তারা বন্দুক চালানোর লাইসেন্স পেয়ে যাবে। সারা দেশে আগুন নিয়ে খেলা চলছে। দেশে কিছু বিজেপির গুন্ডা তৈরি করার জন্যে চার বছরের জন্যে বিজেপি ললিপপ দেখাচ্ছে। এটা ডাকাতি ছাড়া আর কিছু না।”


Previous articleদিল্লির যন্তর মন্তরে কংগ্রেসের প্রতিবাদে সামিল রাহুল
Next articleরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কে? ঠিক করতে মঙ্গলবার বিজেপি বিরোধী দলের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন অভিষেক