ত্রিপুরায় গণতন্ত্র লুণ্ঠনের উলঙ্গ চিত্র, প্রবীণ নাগরিকদের ভোটদানে বাধা বিজেপির গুন্ডাদের

উপনির্বাচনকে সামনে রেখে ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে। যেখান থেকে রেহাই নেই মহিলা ও প্রবীণ নাগরিকদেরও

মুখ্যমন্ত্রীর বদল হলেও বদলায়নি রাজ্যের সন্ত্রাসের চিত্র।
উপনির্বাচনকে সামনে রেখে ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে। যেখান থেকে রেহাই নেই মহিলা ও প্রবীণ নাগরিকদেরও। বিরোধী নেতা-কর্মী-পোলিং এজেন্টদের উপর হামলা, মারধর, হুমকি তো চলছেই, এবার বয়স্ক, অসুস্থ মানুষদেরও কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। একইসঙ্গে চলছে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। সবমিলিয়ে ত্রিপুরায় গণতন্ত্র লুণ্ঠনের উলঙ্গ চিত্র ধরা পড়ছে বুথে বুথে।

আগরতলা কেন্দ্রের ৭২ বছরের এক প্রবীণ নাগরিক ভোট দিতে গেলে তাঁকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ নীরব দর্শক। জনৈক ব্যক্তির অভিযোগ, “আমি ৬০ বছর আগরতলায় আছি। অনেক ভোট দেখেছি। কিন্তু এমন সন্ত্রাসের ছবি আগে কখনও দেখিনি। এভাবে চলতে পারে না। হয়তো এটার জন্য আমরাই দায়ী। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র রক্ষা করতে আমরাই ব্যর্থ।”

আরও পড়ুন- ত্রিপুরা উপনির্বাচন: বিকল EVM, ছুরিকাহত পুলিশকর্মী, রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তৃণমূল প্রার্থীর

এরপর উপস্থিত সাংবাদিকরা জনৈক প্রবীণ ব্যক্তিকে অনুরোধ করেন ভোট দিতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু নারাজ তিনি। ওই ব্যক্তির কথায়, “আমি তিনবার গিয়ে ফিরে এসেছি। এটা প্রহসন চলছে। আমি হতাশ। ৭২ বছর বয়স আমার। ভোট দিতে গিয়ে এভাবে আর অপমানিত হতে পারবো না।”

তাহলে আপনি কি মনে করেন মানুষের ভোটদানের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে শাসক দলের গুন্ডারা? তাঁর উত্তর, “এটা প্রশাসন বলতে পারবে। গণতন্ত্র রক্ষা করার অধিকার প্রশাসনের। সেই দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে।”

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Previous articleমার্কিন মুলুকে ফের বন্দুকবাজের হামলা, নিহত ১
Next articleরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুর প্রস্তাবক খোদ মোদি, রেকর্ড জয়ের আশা বিজেপির