উপনির্বাচনে  ভরাডুবির পর দিল্লি বিজেপিতে কোন্দল  প্রকাশ্যে

রাজিন্দর নগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে পরাজয়ের পরে দিল্লি বিজেপিতে বিক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে।

উপনির্বাচনে হারের পর দিল্লি বিজেপিতে কোন্দল  প্রকাশ্যে।দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্তার অধীনে রাজিন্দর নগর এবং পাঁচটি এমসিডি ওয়ার্ড সহ উপনির্বাচনে ছটি আসনেই পরাজয় হয়েছে । আর এরপরই  বিজেপির অন্দরে অসন্তোষ বাড়তে শুরু করেছে।

২০২০  সালের জুনে, আদেশ গুপ্তা দিল্লিতে বিজেপির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব  নিয়েছিলেন।সূত্রের খবর, দলের অনেক নেতাই এখন দিল্লিতে তাঁর বিরুদ্ধে  প্রচার শুরু করার কথা জানিয়েছেন। গত বছরের মার্চে, দিল্লি এমসিডি উপনির্বাচনের সময়ে বিজেপি তার শক্ত ঘাঁটি শালিমার বাগ সহ পাঁচটি আসন হারিয়েছিল। এর আগে এই পাঁচটি আসনে বিজেপি জিতেছিল। রবিবার রাজিন্দর নগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে পরাজয়ের পরে দিল্লি বিজেপিতে বিক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন- বন্যাবিধ্বস্ত অসমে ১৫০ টাকায় বিকোচ্ছে জল, হিমন্ত ব্যস্ত মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলতে

বিজেপির প্রাক্তন মিডিয়া প্যানেলিস্ট এবং বিজেপি নেতা রাহুল ত্রিবেদী টুইট করেছেন: “দিল্লি বিজেপির আত্মদর্শন দরকার। কী কারণে আমরা দেশের প্রতিটি অঞ্চলে নির্বাচনে জিতেছি, কিন্তু যখন দিল্লির কথা আসে, আমাদের শুধুমাত্র পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক প্রবীণ নেতা বলেছেন, দিল্লিতে ভোটার ও দলের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে, দায়িত্ব ঠিক করতে হবে।

কেএস দুগ্গাল নামে আর এক কর্মী টুইটারে লিখেছেন, “সভা মন্থন নয়, রাজিন্দর নগর বিধানসভার পরাজয়ের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” সিনিয়র নেতারা অনেকেই স্বীকার করেছেন যে কৌশল পরিবর্তন করতে হবে। বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, নির্বাচনী প্রচারের প্রাথমিক পর্যায়ে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে মিডিয়ার সঠিক যোগাযোগ ছিল না। শুধুমাত্র বড় নেতাদের রোডশোর উপর নির্ভর করা ঠিক নয়। জনসংযোগ আরও বাড়াতে হবে। জনগণকে বিকল্প দেওয়ার পরিবর্তে আমরা সবকিছুর জন্য কেজরিওয়ালকে দোষারোপ করতে থাকি।”

Previous articleবন্যাবিধ্বস্ত অসমে ১৫০ টাকায় বিকোচ্ছে জল, হিমন্ত ব্যস্ত মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলতে
Next articleমনোনয়নপত্র জমা দিলেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহা