সরকারি হাসপাতালে প্রত্যেক রোগীর জন্য চালু হচ্ছে ‘ইউনিক হেলথ আইডি’ নম্বর 

সরকারি হাসপাতালে পরিষেবার মান উন্নত করতে স্বাস্থ্য দফতর এবার থেকে প্রত্যেক রোগীর জন্য পৃথক শনাক্তকরণ নম্বর বা ‘ইউনিক হেল্‌থ আইডি নম্বর’ চালু করবে । এই নম্বরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রোগীর অসুস্থতা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হবে। ফলে প্রেসক্রিপশন হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলেও সেই রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য পেতে সমস্যা হবে না। স্বাস্থ্যভবন কলকাতা ও সংলগ্ন প্রতিটি জেলা হাসপাতালকে ইউনিক হেলথ আইডি নম্বর তৈরির পরিকাঠামো গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের ওই ‘ইউনিক হেল্‌থ আইডি নম্বর’  দেওয়া হবে। কীভাবে ওই নম্বর তৈরি হবে তাও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তির সময় রোগী আধার কার্ড বা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখানোর পর তা এইচএমআইএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে নথিভুক্ত করতে হবে। সেখানে ডিজিটাল তথ্য ভান্ডারে রোগীর যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এর পর রোগীর আধার কার্ডে নথিভুক্ত করা মোবাইল নম্বরে পাঠানো একটি ওটিপি যাবে। এইচএমআইএস সফটওয়্যারে ওই ওটিপি দিলেই রোগীর ‘ইউনিক হেল্‌থ আইডি নম্বর’ তৈরি হয়ে যাবে।’



এই নিয়ম কার্যকর হওয়ার পরেও যদি কোনও রোগীর ‘ইউনিক হেলথ আইডি নম্বর’ তৈরি না হয় তাহলেও তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তির সময় রোগীর তরফে কোনও ধরনের আইডি কার্ড না দেখাতে পারলেও সেই রোগীকে ফেরানো যাবে না। পাশাপাশি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যদি ‘ইউনিক হেলথ আইডি নম্বর’ তৈরি করা না যায়, সেক্ষেত্রেও রোগীর চিকিৎসায় হাসপাতালগুলির দেরি করা বা অবহেলা করা যাবে না। অন্যদিকে এই ব্যবস্থা চালু হলে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর পূর্বে কী কী চিকিৎসা করা হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে পারবেন চিকিৎসকরা। রোগীর চিকিৎসার ইতিহাস খুব সহজেই হাতের নাগালে পাওয়া যাবে ‘ইউনিক হেল্‌থ আইডি নম্বর’ -এর মাধ্যমে।

 

 

Previous articleমালয়েশিয়া ওপেনে জয় দিয়ে শুরু সিন্ধু এবং কাশ্যপের, হেরে গেলেন সাইনা
Next article৭ জুলাই ইন্টার্নশিপ পোর্টালের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী