সফল ‘অপারেশন কমল’: হাসি চওড়া ফড়ণবীসের, উপমুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে!

টানটান নাটকের পর অবশেষে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে(Uddhav Thakre)। সুযোগের অপেক্ষায় কুমিরের মতো অপেক্ষা করতে থাকা বিজেপির(BJP) অপারেশন কমল অবশেষে সফল। মানুষের দ্বারা নির্বাচিত আরও একটি সরকার ফেলতে সফল হল গেরুয়া বাহিনী। এরপরই মুখে চওড়া হাসি দেখা গেল দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের(Devendra Fadnavis)। ঠাকরের ইস্তফার পর বুধবার রাতে মিষ্টি বিতরণ শুরু হয় বিজেপির পার্টি অফিসে।

আড়াই বছর ধরে নানা চেষ্টার পর অবশেষে বিজেপির এই সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই খুশির জোয়ার বিজেপি অফিসে। শোনা যাচ্ছে আগামী ১ জুলাই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। এবং তাঁর ডেপুটি হতে চলেছেন বিদ্রোহী বিধায়ক তথা সরকার ফেলার মূল অস্ত্র একনাথ শিন্ডে। গত কয়েকদিন ধরে পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছিল গুয়াহাটির হোটেলে থাকা শিণ্ডে শিবির এবং মহারাষ্ট্রের(Maharastra) বিজেপি শিবির। রাতেই মুম্বইয়ের একটি হোটেলে বিজেপির পরিষদীয় কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই আগামী দিনের রণকৌশল তৈরি হয়ে যায়। রাতেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে আসেন ফড়ণবীস। ওদিকে রায় ঘোষণার পরই শিণ্ডে-সহ বিদ্রোহী বিধায়করা অসম থেকে গোয়া উড়ে আসেন।। বর্তমানে গোয়ার একটি হোটেলে রয়েছেন তাঁরা। শোনা যাচ্ছে দেবেন্দ্র ফড়ণবিস ফর্মুলা সিক্স মেনে নতুন মন্ত্রিসভা সাজাবেন। অর্থাৎ ৬ জন বিধায়ক পিছু একজন করে মন্ত্রী। এই মুহূর্তে নির্দল এবং প্রহার পার্টি মিলিয়ে একনাথ শিণ্ডে শিবিরের বিধায়ক সংখ্যা পঞ্চাশের আশেপাশে। তাঁদের মধ্যে ৮ জন মন্ত্রী রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককেই ফের মন্ত্রী করা হবে। এছাড়াও আরও দুই প্রতিমন্ত্রী পেতে পারে শিব সেনা। আর বিদ্রোহীদের নেতা একনাথ শিণ্ডেকে করা হতে পারে উপমুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে বৃহস্পতিবার একটি টুইট করেছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। যেখানে দেখা যাচ্ছে সাদা কুর্তা-পাঞ্জাবি পরা একটি শরীরের পিছনের অংশ। পিঠের উপর তিনটি গভীর ক্ষতচিহ্ন। ছবির অবয়বের সঙ্গে সদ্য-প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের মিল স্পষ্ট। আঘাতের চিহ্ন বলছে, পিছন থেকে হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে ‘সম্ভাব্য হামলাকারী’ হিসেবে বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন সঞ্জয়। এই ছবি দেখে রাজনৈতিক মহলের দাবি, ঠাকরেকে যে পিছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে এটাই বোঝাতে চেয়েছেন রাউত। আর এ ক্ষেত্রে সামনে চলে আসছে মরাঠা ইতিহাসের সেই পরিচিত অস্ত্র— বাঘনখ। যার আঘাতে বিজাপুরের সেনাপতি আফজল খানকে হত্যা করেছিলেন ছত্রপতি শিবাজি। একইসঙ্গে সঞ্জয় বৃহস্পতিবার শিন্ডে শিবিরের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলে বলেছেন, “নিজেদের লোকেরাই পিঠে ছুরি মেরেছে। কিন্তু ক্ষমতার জন্য শিবসেনার জন্ম হয়নি। ক্ষমতার জন্ম হয় শিবসেনার জন্য। আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াব।”


Previous articleশুভেন্দু ও তাঁর ভাইয়েরা সারদার টাকা নিয়েছে, ফের বিস্ফোরক সুদীপ্ত সেন
Next articleজুবাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা টুইটার অ্যাকাউন্ট স্রেফ উধাও