কিংবদন্তি পরিচালকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া টলিপাড়ায়

চলে গেলেন কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার।  সোমবার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১। বর্ষীয়ান পরিচালকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিউড।

আরও পড়ুন:জীবনপুরের পথিক: তরুণ মজুমদার (১৯৩১- ২০২২)

কিংবদন্তি পরিচালকের মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন,’কিছু বলার ভাষা নেই’।

এদিন পরিচালকের মৃত্যুতে কান্না ভেজা গলায় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “মনটা খুবই ভারাক্রান্ত লাগছে। ওঁর সঙ্গে কাজের অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমরা প্রথম ছবি করেছিলাম আলো। যা বাংলা সিনেমায় একটি বড় জায়গা তৈরি করে দিয়েছিল। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে একটি ল্যান্ডমার্ক ছবি। এরপর চাঁদের বাড়ি করেছি। সম্প্রতি ভালবাসার বাড়ি ছবিটি করেছি। উনি বাংলা সিনেমার স্তম্ভ। ওঁর অবদানের শেষ নেই। মনটা খুব অস্থির হয়ে আছে।”


অভিনেত্রী শতাব্দী রায় বলেন,’বাংলা ইন্ডাস্টির এক অধ্যায়ের শেষ হল। একটা কমার্শিয়াল ছবি মিষ্টিতার সঙ্গে বানানোর মত কৃতিত্ব আর বোধহয় কোনও পরিচালকের নেই। এমন বড় মাপের পরিচালককে আজ আমরা হারালাম।’


এদিন শোকে বিহ্বল হয়ে অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তাঁর হাত ধরেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে পথ চলা শুরু। শুরুর দিনগুলো কোনওদিনই ভুলতে পারব না। উনি আমার পিতৃসম। তাঁর মৃত্যুতে আর এক বাবাকে হারালাম”।

 


তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক বলেন, ‘তাঁর সিনেমায় মিষ্টতা থাকত। অত্যন্ত গুণী পরিচালক ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কাজ করার অনেক ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে।আমার সৌভাগ্য যে আমি ওঁর পরিচালিত একটি ছবিতে অভিনয় করতে পেরেছি। এই মুহূর্তে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করা ছাড়া আর কিছুই নেই।’

Previous articleছাত্রীদের ন্যায়ের পথে চলার শিক্ষা দেব, স্কুলে যোগ দিয়ে ববিতা
Next articleটাকা ছাড়াও শিবসেনার বিক্ষুব্ধদের ‘আরও কিছু’ দেওয়া হয়েছে: গুরুতর অভিযোগ মমতার