Monday, November 3, 2025

ভরসা নেই দলের! রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আগের দিন থেকে হোটেল-বন্দি বিজেপি বিধায়করা

Date:

Share post:

ক্ষমতা দখলে রাজনীতির আঙিনায় ঘোড়া কেনাবেচা করতে করতে বিজেপির (BJP) এমন হাল যে নিজের দলের বিধায়কদের উপরেই আর বিশ্বাস রাখতে পারছে না। অন্তত বঙ্গ বিজেপির কার্যকলাপ দেখে এটাই বলছে রাজনৈতিক মহল। সোমবার, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে রবিবার হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল রাজ্যের বিজেপি বিধায়কদের। নিউটাউনের হোটেলে রাখা হয়েছে ৬৯ জন বিজেপি বিধায়ককে। সমস্ত ভোট NDA প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) পক্ষে সুনিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।

তবে, বাংলার রাজনীতিতে এই নজির আগে কোনদিন দেখা যায়নি। এভাবে বিধায়কদের হোটেল বন্দি করে রেখে তাঁদের ধরে রাখার চেষ্টা বিজেপি অন্যান্য রাজ্যে করেই থাকে। সাম্প্রতিকতম উদাহরণ মহারাষ্ট্র (Maharastra)। সেখানে গুজরাট থেকে অসম হয়ে গোয়ায় শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের হোটেলে হোটেলে ঘোরানো হয়েছে। আর তার নেপথ্যে যে বিজেপি ছিল তা মহারাষ্ট্রের নতুন সরকার গঠনের পরেই দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। তবে নিজের দলের বিধায়কদের প্রতিও যে আর বঙ্গ বিজেপি আস্থা রাখতে পারছে না, তা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগের দিন তাঁদের নিউটনের হোটেলে নিয়ে গিয়ে রাখাতেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে।

যদি বিজেপির কোনও বিধায়ক তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দেন, মুখ পুড়বে বঙ্গ বিজেপির। একেই বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে ফানুস তারা উড়িয়েছিল তা চুপসে গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে ফল প্রকাশের পর থেকে ক্রমে ধস নামছে গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির ৭৭ জন বিধায়কের মধ্যে ৭ জন বিধায়ক আগেই দল ছেড়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। এখন বাংলায় বিজেপির ৭০ জন বিধায়ক। এই অবস্থায় একজন বিধায়কের ভোটও এদিক-ওদিক হলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে মুখ দেখাতে পারবেন না বঙ্গ বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। তবে, হোটেলে রাখা হয়েছে ৬৯ জনকে। বাবা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে অর্জুন পুত্র পবন সিং আনুষ্ঠানিকভাবে দল না ছাড়লেও বিজেপি মনে করছে পবনের ভোট তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীর দিকেই যাবে। সে কারণেই তাঁকে হোটেলের রাখা হয়নি।

যদিও বিজেপির দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন দূরবর্তী জেলা থেকে বিভিন্ন বিধায়করা আসেন। তাঁদের যাতে ভোট দিতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণে এই ব্যবস্থা। আসলে বিধায়ক কেনাবেচা করতে নিজেরা যে আচরণ বিরোধীদলের সঙ্গে বিজেপি করে, সেটাই তাদের দিকে বুমেরাং হয়ে আসতে পারে- এই ভয়ে সন্ত্রস্ত গেরুয়া শিবির। আর সেই কারণেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন- করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী: মহানগরের জনবহুল এলাকায় সচেতনতা প্রচার কলকাতা পুলিশের

 

spot_img

Related articles

তিন জেলায় চলবে নজরদারি! এসআইআর পরিদর্শনে আসছে কমিশনের বিশেষ দল

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) প্রক্রিয়া চলাকালীন রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পরিদর্শক দল। কমিশন সূত্রে জানা...

এসআইআর চলাকালীন এলাকায় থাকতে হবে মন্ত্রীদের, কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যজুড়ে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া (এসআইআর)। এই প্রক্রিয়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের...

বিশ্বকাপ জিতেই মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার, আয়ে পলাশকে কতটা টেক্কা দিলেন স্মৃতি?

বিশ্বকাপ জিতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা (Smriti Mandhana) । আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস...

ঝাড়গ্রামে শিল্পের প্রসারে বড় পদক্ষেপ, জমি ফ্রি-হোল্ডে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত রাজ্যের

শিল্পে বিনিয়োগের গতি বাড়াতে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত...