প্রস্তুতি দেখতে ধর্মতলায় একুশের মঞ্চে অভিষেক, ঘুরে দেখলেন অস্থায়ী ক্যাম্পগুলিও

চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আর সেই প্রস্তুতি দেখতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ, মঙ্গলবার ঘুরেলেন কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। শুরু হয়ে গিয়েছে একুশে জুলাইয়ের কাউন্ট ডাউন। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, কলকাতা থেকে জঙ্গলমহল, একুশের তিলোত্তমায় সব পথ মিশবে ধর্মতলায়। এবারে একুশে জুলাই তাৎপর্য অনেকটাই আলাদা। করোনা মহামারীর জন্য গত দু’বছর যেমন ধর্মতলায় প্রকাশ্যে সমাবেশ করা যায়নি, ঠিক একইভাবে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ও আগামীর দিক-নির্দেশনা নিয়ে রাজনীতির লড়াইয়ের ময়দানে নামবে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।

চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আর সেই প্রস্তুতি দেখতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ, মঙ্গলবার ঘুরেলেন কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়। এদিন বিকেলে প্রথমেই ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন অভিষেক। সেখানকার ব্যবস্থাপনা দেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক তাপস রায়-সহ আরও অনেকে।

এরপরই তিনি সোজা চলে আসেন ধর্মতলায় ভিক্টরিয়া হাউসের সামনে একুশের মঞ্চ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে।
বিকেল পাঁচটা নাগাদ ধর্মতলায় পৌঁছান অভিষেক। সোজা উঠে পড়েন একুশের মূল মঞ্চে। বেশ কিছুক্ষণ মঞ্চের এমাথা-ওমাথা ঘুরে দেখে যাঁরা দায়িত্বে আছেন তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি-সহ অন্যান্যদের নেতৃবৃন্দ। ধর্মতলার প্রস্তুতি থেকে খুশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপর অভিষেক চলে আসেন দক্ষিণ কলকাতার কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। গতকাল সোমবারও গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে তিনি পরিদর্শন করেছিলেন। এই অস্থায়ী ক্যাম্পে মূলত মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে আগত প্রতিনিধি ও কর্মী-সমর্থকরা রয়েছেন। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামের ক্যাম্পে ইতিমধ্যেই প্রচুর মানুষ দূরের জেলাগুলি থেকে চলে এসেছেন। এখানে মহিলাদের উপস্থিতি বিশেষভাবে লক্ষ্য করা গিয়েছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অনেক মহিলা পরিবারের সঙ্গে এসেছেন শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শোনার জন্য। এদিন দূরে জেলাগুলি থেকে আসা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক, তাঁদের ব্যবস্থাপনায় কোনও ত্রুটি হচ্ছে কিনা, তাও জানতে চান তিনি।

গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব রয়েছেন মূলত ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। এদিন গোটা স্টেডিয়াম ঘুরে দেখে, সুশান্ত ঘোষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন অভিষেক। যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বলে যান খুব ভালো ব্যবস্থাপনা। সুশান্ত ঘোষ জানান, মূলত মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে আগত প্রতিনিধিরা গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে রয়েছেন। এখানে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিষেকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সমস্ত আয়োজন। লোক বেশি হলে পাশে বেশ কয়েকটি কমিউনিটি হলে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। সম্পূর্ণ কোভিড বিধি মেনে এই অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে। মাক্স, স্যানিটাইজার পর্যাপ্ত রাখা হয়েছে। একুশে জুলাই সকালে প্রতিনিধিদের কসবা থেকে বাসে করে হাজরা মোড় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে মিছিল করে ধর্মতলা।

আরও পড়ুন- মমতাকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ হাসিনার, সেপ্টেম্বরে দিল্লি সাক্ষাতের সম্ভাবনা

 

Previous articleধাক্কা সামলে আরও ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার, ২৪৬ পয়েন্ট বাড়ল সেনসেক্স
Next articleপশ্চিমবঙ্গের নাম বদলের প্রস্তাব পেয়েছেন, তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নের জবাবে জানালেন নিত্যানন্দ রাই