আদালতের শর্তে কুপোকাৎ, নিজেই বাদ পড়ে সভা বাতিল শুভেন্দুর

সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ঠিকই, তবে একইসঙ্গে বিজেপির(BJP) উলুবেড়িয়ার(Uluberia) সভায় কড়া শর্ত দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে। আর এই শর্তের ভিত্তিতে সভা থেকে বাদ পড়েছিলেন খোদ শুভেন্দু অধিকারী(Shuvendu Adhikari)। যার জেরেই সভা বাতিল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পরিবর্তে আগামী ২৭ জুলাই প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছে বিজেপি। যদিও এই ঘটনায় বিজেপিকে তোপ দাগতে ছাড়েনি তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, সভায় লোক হবে না সেই ভয়ে সভা বাতিল করে পালিয়ে গেলেন শুভেন্দুরা।

আদালতের তরফে সভা করার জন্য যে সব শর্ত দেওয়া হয়েছে তার কার্যত বিরোধীতা করে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে করে শুভেন্দু জানান, “কার্যত হাই কোর্টকে দিয়ে যে সব শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা সভা করার বিপক্ষে। কিন্তু বিজেপি বিশ্বের সর্ববৃহৎ পার্টি। দেশ চালায়। ১৮টি রাজ্য চালায়। তাই বিজেপিকে সভা করতে দেওয়ার ঝুঁকি হয়তো মহামান্য উচ্চ আদালত নিল না।” পাশাপাশি তিনি বলেন, শর্তে বলা হয়েছে আমরা চেয়েছিলাম ৫ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত সভার অনুমতি দেওয়া হোক কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি হাওড়ার মানুষকে নিয়ে এই সভা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমি নিজে হাওড়ার নই। সভার মূল বক্তাদের অনেকেই হাওড়ার নন। যার জেরেই এই সভা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি আমরা। এদিকে বিজেপির তরফে সভা বাতিলের পর শুভেন্দুকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, পায়ে পা দিয়ে যদি কেউ ঝগড়া করতে অভ্যস্ত ওরা। সংকীর্ণ মানসিকতার জেরেই ২১ জুলাই সভা করার অনুমতি চেয়েছিল। আদালত সে অনুমতি দিলেও এখন সভায় লোক হবে না বুঝতে পেরে সভা বাতিল করল।

উল্লেখ্য, এদিন ২১ জুলাই বিজেপির সভা সংক্রান্ত মামলায় সভার পক্ষেই মত দেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। তবে কড়া শর্ত দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন,

  • রাত ৮ টার আগে সভা করার যাবে না। রাত ১০ টার মধ্যে শেষ করতে হবে সভা।
  • শান্তি – শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে বিজেপিকে।
  • বিজেপির জেলা অফিস সংলগ্ন মনসাতলা মাঠেই করতে হবে সভা।
  • বুধবার সন্ধে ৬ টার মধ্যে স্থানীয় থানাকে সভাস্থল সম্পর্কে জানাতে হবে।
  • পুলিশ সেই সভাস্থল পরিদর্শন করবে এবং সেখানে দুই হাজার লোকের সমাগমের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে কি না, তা দেখবে।
  • যদি দেখা যায় দুই হাজার মানুষের জন্য ওই সভাস্থলটি পর্যাপ্ত নয়, তাহলে কত মানুষ নিয়ে সভা করা হবে, সেই বিষয়ে পুলিশকে জানাবে বিজেপি শিবির।
  • কোনওভাবেই যাতে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বিজেপিকে।
  • সন্ধে সাড়ে ৬ টার পর থেকে মানুষ এবং গাড়ি ওই সভাস্থলের দিকে যেতে পারবে।
  • হাওড়ার স্থানীয় মানুষ ছাড়া, বাইরের কোনও লোক যেন সভায় না আসে, তা নিশ্চিত করতে হবে বিজেপিকে।
  • সভাস্থল পরিদর্শন করে দেখবেন এসডিও। সভাস্থল ২০ টি লাউড স্পিকারের জন্য উপযুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখবেন তিনি। এসডিও যদি মনে করেন, তাহলে লাউড স্পিকারের সংখ্যা কমাতে পারেন তিনি।
  • কিছুদিন আগেই যেহেতু ওই এলাকায় অশান্তি হয়েছিল তাই, বক্তারা যেন কোনওরকম প্ররোচনামূলক বক্তব্য না রাখেন তা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে মানুষ উত্তেজিত হন এমন কোনও প্ররোচনামূলক ভিডিয়ো না দেখানো হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে বিজেপিকে।


Previous articleIndia Team: ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া, রিলে নজর কাড়লেন দ্রাবিড়
Next articleসাবধানে সমাবেশে যোগ দিন, ধর্মতলার সভামঞ্চ পরিদর্শনের পর বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের