গীতাঞ্জলি ইন্ডিয়ান: নানা ভাষায় গীতাঞ্জলির অনুবাদ নিয়ে জমজমাট অনুষ্ঠান

বিভিন্ন ভাষায় পরিবেশিত হল রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath) গান, কবিতা। আয়োজনে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ (Techno India Group), আজকাল (Aajkal)। শুরুতেই শিল্পীরা সমবেতভাবে গেয়ে ওঠেন 'আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে'। উঠে দাঁড়িয়ে গলা মেলান উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারাও।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হয়েছে রবীন্দ্রসাহিত্য। অনুবাদ হয়েছে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত কাব্যগ্রন্থ ‘গীতাঞ্জলি’ (Geetanjali)। সেই উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রসদনে(Rabindra Sadan, Kolkata) অনুষ্ঠিত হল ‘গীতাঞ্জলি ইন্ডিয়ান'(Geetanjali Indian)। বিভিন্ন ভাষায় পরিবেশিত হল রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath) গান, কবিতা। আয়োজনে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ (Techno India Group), আজকাল (Aajkal)। শুরুতেই শিল্পীরা সমবেতভাবে গেয়ে ওঠেন ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’। উঠে দাঁড়িয়ে গলা মেলান উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারাও। স্বাগত জানান টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরী (Satyam Roy Chowdhury) । বলেন, গীতাঞ্জলির শতবর্ষে প্রথম অনুষ্ঠান হয় শান্তিনিকেতন ও বাংলাদেশ। দেশের বিভিন্ন ভাষায় এই গীতাঞ্জলি অনুবাদ হয়েছে বলেও জানান সত্যম রায়চৌধুরী। ছিলেন রাজের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন (Indranil Sen), বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo), দেবাশিস কুমার, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য (Subhaprasanna Bhattacharya), কবি সুবোধ সরকার (Subodh Sarkar), ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের (Friends of Bangladesh) কর্ণধার মেজর সামসুল আরেফিন।

রাজ্যের মন্ত্রী বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেন কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে তিনি উদাত্ত কণ্ঠে ধরলেন ‘আমার হৃদয় তোমার আপন হাতের দোলে’। তাঁকে সংবর্ধিত করেন সত্যম ও মৌ রায়চৌধুরী।

‘সোনারতরী’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন বিধায়ক দেবাশিস কুমার। বিধায়ক তথা সংগীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয় গাইলেন ‘কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি’। কবিতা পাঠ করেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের (Techno India Group)কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরী (Satyam Roy Chowdhury) স্বয়ং। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta) শোনান রবীন্দ্রনাথের কবিতা।

অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগীত পরিবেশন করেন চন্দ্রাবলী রুদ্র দত্ত, তথাগত সেনগুপ্ত, শান্তনু রায়চৌধুরী, নবনীতা রায়চৌধুরী, কিঙ্কিনী ঘোষ রায়, মৌ রায়চৌধুরী। পাঠে ছিলেন রায়া ভট্টাচার্য সহ বিশিষ্টরা। হৈমন্তী শুক্লার কবিপ্রণামে ছিল ‘আমি তোমার প্রেমে হব সবার কলঙ্কভাগী’। সৈকত মিত্র শোনান ‘শ্রাবণের ধারার মতো’। শিবাজী চট্টোপাধ্যায় গাইলেন ‘হার মানা হার পরাব তোমার গলে’। রবীন্দ্রনাথের বহু গানে পড়েছে বিদেশি সুরের ছায়া। তেমনই কিছু গান নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি। সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে টেকনো ইন্ডিয়া স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। তাদের নিবেদনে ছিল ‘বড় আশা করে এসেছি গো’র ইংরেজি অনুবাদ।আবৃত্তি পরিবেশন করেন শিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় (Bratati Bandopadhyay)। শোভনসুন্দর বসু শোনান গীতাঞ্জলির কবিতা ‘ভারততীর্থ’।

 

সাঁওতালি, ওড়িয়া, অহমিয়া, গুজরাটি-সহ বিভিন্ন ভাষায় রবীন্দ্র কবিতা গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা।অতিথি এবং শিল্পীদের উপহার দেওয়া হয় চারাগাছ। শুরু থেকে শেষ দর্শক শ্রোতাদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মতো।


Previous articleসহকর্মী ভেবে লজ্জিত, মন্ত্রিসভা-দল থেকে পার্থকে অপসারণের পর প্রতিক্রিয়া ফিরহাদের
Next articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ