দমদম সংশোধনাগারের ৪ রোহিঙ্গা মহিলাকে এদেশে থাকার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যা প্রয়োজন সেগুলো থেকে বন্দি রোহিঙ্গাদের বঞ্চিত করা যাবে না। আগামী ১০ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা (Rohingya) ইস্যুতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। দমদম সংশোধনাগারে বন্দি ৪ রোহিঙ্গা মহিলাকে আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনওভাবেই দেশের বাইরে পাঠানো যাবে না। এছাড়া তাঁদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে সেবিষয়টিও স্পষ্ট করতে হবে কারা দফতরকেই। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যা প্রয়োজন সেগুলো থেকে বন্দি রোহিঙ্গাদের বঞ্চিত করা যাবে না। আগামী ১০ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

২০১৬ সালে মায়ানমারের পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঠিক সেইসময় কিছু রোহিঙ্গা মায়ানমার (Mayanmar) থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। কিছু রোহিঙ্গা আবার বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে আসেন। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগণার একাধিক প্রান্তে তাঁরা পাকাপাকি ভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সেইভাবেই মালদহ সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে চলে আসেন ফতেমা বিবি, আয়েশা বেগম, তসলিমা বিবি, হামিদা বেগমরা। তবে ভারতে প্রবেশ করার পরই তাঁরা সীমান্তরক্ষীদের কাছে ধরা পড়ে যান। এরপর মালদহ জেলা আদালতের নির্দেশে তাঁদের জায়গা হয় বাংলার বিভিন্ন হোমে। এছাড়া রোহিঙ্গা মহিলাদের সাড়ে ৩ বছরের জেল ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। তবে বর্তমানে তাঁরা দমদম সংশোধনাগারেই বন্দি। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন দুই শিশুও।

সম্প্রতি রোহিঙ্গা বন্দিরা জানতে পারেন ৫ অগাস্ট তাঁদের দেশ ছাড়া হতে হবে। পাঠিয়ে দেওয়ে হবে মায়ানমারে। আর এই কথা শোনার পরই তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এবং তাঁদের যেন ভারতেই থাকতে দেওয়া হয় সেই আর্জি জানান। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বন্দি রোহিঙ্গারা আদালতে জানায়, তাঁদের সকলের কাছেই বৈধ রিফিউজি কার্ড (Refugee Card) আছে। সেই কার্ড দেখেই তাঁদের ভারতে রাখার পক্ষেই সায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারই জানিয়েছে, রোহিঙ্গা মহিলাদের দেশ ছাড়া করার কোনওরকম পরিকল্পনাই আপাতত নেই।

 

 

 

 

Previous articleজেল হাসপাতাল নয়, পার্থকে সেলে রাখার দাবি কুণালের
Next articleরাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়