জাতীয় শিক্ষা নীতি চাপিয়ে দেওয়া নয়, গুরুত্ব দিন রাজ্যের মতকে: সুর চড়ালেন মমতা

কেন্দ্রের শিক্ষা নীতি থেকে শুরু করে, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যকে গুরুত্ব, রাজ্যের বকেয়া মেটানো-সহ একাধিক ইস্যুতে নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের সপ্তম বৈঠকে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রবিবার সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ওই বৈঠক হয়। যদিও বৈঠক শেষে বেরিয়ে এ নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করেননি তিনি। এদিনের বৈঠকে ছিলেন না তেলঙ্গানার (Telegana) মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।

সূত্রের খবর, এদিন কেন্দ্রের শিক্ষা নীতি রাজ্যের জোর উপর চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করেন মমতা। শিক্ষায় গৈরিকীকরণ নিয়ে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যের উপর সব চাপিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র। এর প্রতিবাদ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সাফ জানান, জোর করে রাজ্যগুলির উপর জাতীয় শিক্ষা চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।

যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই সম্পর্ক তখনই আরও মজবুত হবে, যখন রাজ্যের মত গুরুত্ব পাবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে সহযোগিতা আরও বেশি হওয়া উচিত। গুরুত্ব দেওয়া উচিত রাজ্যের মতামতকে।

স্বাধীনতার ৭৫বছর পরেও তৈলবীজ উৎপাদনে আত্মনির্ভর হতে পারল না ভারত। এখনও আমদানি করতে হয়। “আমরা আধুনিকভারত গড়ার ডাক দিচ্ছি, কিন্তু এখনও খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভর হতে পারলাম না। ফলে প্রচুর খরচ হচ্ছে।“ এই বিষয়ে কেন্দ্রের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন মমতা। এই প্রসঙ্গেই তোলেন দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিও।

আরও পড়ুন- অবিবাহিত ২৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের গর্ভপাতের অনুমতি  সুপ্রিম কোর্টের

প্রশাসনিক সংস্কার করতে গেলে অর্থনৈতিক কাঠামোকে মজবুত করতে হয়। সেটা রাজ্যের পক্ষে সম্ভব নয়। তার জন্য কেন্দ্রকে বকেয়া টাকা সময়মতো রাজ্যকে মেটাতে হবে। না হলে ঠিক করে প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

সকাল দশটায় রাষ্ট্রপতি ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বৈঠক শুরু হয়। কোভিড অতিমারির পর্বের পর এই প্রথম নীতি আয়োগের পরিচালন সমিতির সরাসরি বৈঠক হল। চারদিনের সফরে দিল্লি গিয়েছিলেন মমতা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। দেখা করেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও। আলোচনা হয় তৃণমূলের সাংসদদের সঙ্গেও। রাষ্ট্রপতি ভবনে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদযাপন কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলেই কলকাতা ফিরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

Previous articleMaharastra: কুসংস্কারের বলি পাঁচ বছরের শিশু কন্যা, গ্রেফতার মা বাবা
Next articleডেঙ্গি নিয়ে সতর্ক প্রশাসন, নবান্নে রিপোর্ট পাঠাল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর