নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে পার্টি করে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার, একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেয় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে শুধু শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের নামের তালিকা প্রকাশ করে বিরোধীরা। এদিন, সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করে তোপ দাগল তৃণমূল। তালিকায় রয়েছে কংগ্রেস-সিপিআইএম (Congress-CPIM) নেতাদের নাম। ফিরহাদ হাকিম বলেন, অর্ধ সত্য প্রকাশ করা হচ্ছে।
বুধবার, বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের মন্ত্রীরা। ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, অরূপ রায়, মলয় ঘটক, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শিউলি সাহা। “নির্বাচনী হলফনামায় আয়-ব্যয়ের সব হিসাব দিয়েছি। আয়কর দফতর কোনও পদক্ষেপ করেনি। রোজগার করা, সম্পত্তি বাড়ানো অন্যায় নয়। এটা জনস্বার্থ মামলা নয়, রাজনৈতিক স্বার্থে করা মামলা”। তীব্র আক্রমণ করেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এরপরেই তথ্য প্রকাশ করে বিস্ফোরণ ঘটনা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, এটাই আদালতের দেওয়া তালিকা। সেই তালিকা পড়ে শোনা রাজ্যের আরেক মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে দেখা যায়, কংগ্রেস-সিপিআইএম নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রীদের নাম রয়েছে তালিকায়।
সম্পত্তি বৃদ্ধির তালিকায় কোন, কোন সিপিএম-কংগ্রেস নেতার নাম?
অধীররঞ্জন চৌধুরী
সূর্যকান্ত মিশ্র
কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়
অশোক ভট্টাচার্য
আবু হেনা
ধীরেন বাগদি
ফণীভূষণ মাহাত
রূপরানি মণ্ডল
তরুণকান্তি ঘোষ
চন্দন সাহা
মোহিত সেনগুপ্ত
নেপাল মাহাত
তৃণমূলের দিকেই একতরফা কেন অভিযোগ তোলা হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘অমিত শাহর ছেলে জয় শাহর সম্পত্তির পরিমাণ কত বেড়েছে! এমনকী, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে বলে জানান ফিরহাদ।
ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, আদালতের রায় নিয়ে তাঁদের কোনও বক্তব্য নেই। আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু অর্ধ সত্য তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ করছে সিপিএম-কংগ্রেস। এর তীব্র প্রতিবাদ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
ব্রাত্য বসু বলেন, ২০২১ সালে জেতা বিজেপি প্রার্থীদের সম্পত্তির দিকেও নজর থাকবে। তৃণমূলের দাবি, সম্পত্তি বৃদ্ধির তালিকায় ৪ বিজেপি নেতারও নামও রয়েছে।
সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির বিষয়ে ফিরহাদ বলেন, “পার্থ যা করেছেন, তাতে আমরা লজ্জিত। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, তৃণমূলের সবাই চোর।” এরপরেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করে আদালতের দেওয়া সম্পর্রণ তালিকা প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।