ভারত মহাসাগরে চিনা সেনার ঘাঁটি! উদ্বেগে প্রতিরক্ষামন্ত্রক

উদ্বেগজনক চিত্র ধরা পড়ল উপগ্রহচিত্রে। এবার ভারত মহাসাগরে চিনা নৌসেনার তৎপরতা তুঙ্গে। যা নিয়ে উদ্বেগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

এর আগে পূর্ব লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, ডোকলামেও চিনাবাহিনীর তৎপরতা ধরা পড়েছিল উপগ্রহচিত্রে। এবার সেই একই ছবি দেখা গেল ভারত মহাসাগরে। একেবারে ঘাঁটি গড়ে তুলেছে নৌ সেনারা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞবিদরা মনে করছেন,  নয়াদিল্লিকে লক্ষ্য করেই ভারত মহাসাগরে এই তৎপরতা চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র।

আরও পড়ুন:দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে CBI,’ওদের স্বাগতম’, ট্যুইট সিসোদিয়ার

উপগ্রহচিত্রে দেখা যাচ্ছে, এডেন উপসাগর থেকে লোহিত সাগর হয়ে সুয়েজ খালমুখী জলপথের বাব-এল-মান্দেব প্রণালীতে অবস্থিত এই নৌঘাঁটি থেকে আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে উপস্থিতি জানান দেওয়ার জন্য জিবুতির নৌঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে চিনা নৌবাহিনী। ভারত মহাসাগরের পাশাপাশি আরব সাগরের জলসীমায় ঢুকে চাপে ফেলতে পারবে নয়াদিল্লিকে।

সামরিক বিশেষজ্ঞদের মত, ওই নৌঘাঁটিতে ফ্রিগেট, কর্ভেট জাতীয় রণতরী ও ‘অ্যাম্ফিবিয়ান ল্যান্ডিং ভেহিকলস’ ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে । নৌ-নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক সংস্থার বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ‘‘ঔপনেবেশিক জমানার বন্দরদুর্গের ধাঁচে ওই ঘাঁটিটি গড়া হয়েছে। অবস্থান এবং আয়োজন থেকে স্পষ্ট, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে হামলার উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে নৌঘাঁটিটিকে।’’

প্রসঙ্গত, গত এক দশক থেকেই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য জলপথে অবস্থিত বাব-এল-মান্দেব প্রণালী প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। তারই প্রথম ধাপে ৫৯ কোটি ডলার (প্রায় ৪,৭০৭ কোটি টাকা) ব্যয়ে ওই নৌঘাঁটি গড়েছে তারা। অন্যদিকে নয়াদিল্লির উপর চাপ বাড়িয়ে শ্রীলঙ্কায় হামবানটোটা বন্দরে চিনা গুপ্তচর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং-৫’ নোঙর করেছে।  এমতাবস্থায় যথেষ্ট উদ্বেগে প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

Previous article“বিলকিস বানোর ধর্ষকরা ব্রাহ্মণ ও সংস্কারী”, বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক
Next articleডেঙ্গু সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, জরুরী বৈঠক রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের