আইনি লড়াই শেষে স্বস্তি, বাড়ির কাছের স্কুলেই চাকরি পেলেন ঢাকুরিয়ার কবিতা

এক বা দুই নয়, টানা আট বছরের লড়াই শেষে অবশেষে চাকরি ফিরে পেলেন এক শিক্ষিকা (Teacher)। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) নির্দেশ মতো ঢাকুরিয়ার বাড়ির কাছেই চাকরি পেলেন কবিতা আঢ্য (Kabita Adhya)। ২০১২ সালে এসএলএসটি-তে (SLST) ভূগোলের শিক্ষিকা (Geography Teacher) হিসেবে চাকরির আবেদন করেছিলেন কবিতা। কিন্তু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না হয়ে এবং কম নম্বর পেয়েও শ্রীমতী বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী কাজে যোগ দেন। তবে সমস্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাননি ঢাকুরিয়ার ওই বাসিন্দা। তবে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে নিজের প্রাপ্য অধিকার আদায় করলেন কবিতা। হাই কোর্টের নির্দেশে শ্রীময়ী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিলেন ভূগোলের শিক্ষিকা কবিতা।

কবিতা আঢ্যর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২০১২ সালে কবিতা ভূগোলের শিক্ষিকা পদে চাকরির আবেদন করেন। তবে তিনি চাকরি পাননি। এরপরই তিনি তথ্য জানার অধিকার আইন (Right To Information Act) মারফৎ জানতে পারেন শ্রীময়ী বন্দ্যোপাধ্যায় নামে একজন কম নম্বর পেয়ে চাকরি করছেন। এরপর ২০১৫ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কবিতা। সেইসময় হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত শ্রীময়ীর চাকরি বাতিল করে কবিতাকে চাকরি দিতে নির্দেশ দেন। তবে ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench) সেই নির্দেশকে খারিজ করে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেয়। সেই জটিলতায় পড়েই থমকে যায় কবিতার চাকরিতে যোগদানের প্রক্রিয়া। তখন থেকেই মামলাটি পড়েছিল। সম্প্রতি বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে।

মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সিনহা অভিযোগ তোলেন, একজন কম নম্বর পেয়েও চাকরি করছেন আর যোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে না। এদিন দুপক্ষের সওয়াল-জবাব ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারপতি কবিতা আঢ্যকে বাড়ির কাছেই চাকরির নির্দেশ দেন। তবে হাইকোর্টের নির্দেশের পরও প্রথমদিকে তাঁকে হাওড়ার পাঁচলার একটি স্কুলে নিয়োগ করা হয়। ফের তিনি আবেদন করলে আদালত এসএসসিকে (School Service Commission) সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার (Reconsideration) নির্দেশ দেয়। পরে নিউ আলিপুরের একটি স্কুলে কবিতাকে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। পাশাপাশি হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, ২০১৪ সালে চাকরিতে যোগ দিলে যা বেতন হত সেই নিরিখেই বেতন দিতে হবে কবিতাকে। এছাড়া ২০১৪ সাল থেকেই চাকরির যাবতীয় সুযোগসুবিধা পাবেন ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন:কানাড়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়েজ ইউনিয়নের রক্তদান নিয়ে উৎসাহ তুঙ্গে

 

Previous articleকানাড়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়েজ ইউনিয়নের রক্তদান নিয়ে উৎসাহ তুঙ্গে
Next articleসাম্প্রদায়িক হিংসার সব মামলা থেকে রেহাই, সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি যোগীর