“এবার কচুরিপানা থেকে শিল্প গড়ে তোলা হবে। রাজ্যের পরিকল্পনা অনুযায়ী, কচুরিপানা থেকে তন্তু বের করার মাধ্যমে তৈরি করা হবে শিল্পের সামগ্রী। ইতিমধ্যে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প দফতর এমএসএমই (MSME) দ্বারা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগণায় কয়েকটি কারখানাও (Factory) তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে এই শিল্প যথেষ্ট নজর কাড়বে। গত শনিবার ‘টক টু মেয়র’ (Talk to Mayor) অনুষ্ঠানে একথাই ঘোষণা করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। পাশাপাশি ডেঙ্গু (Dengue) পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে বলেও এদিন জানিয়েছেন তিনি।

এদিন মহানাগরিকের বক্তব্যে উঠে আসে মহম্মদ আলি পার্কের (Md Ali Park) পুজো (Durga Puja 2022) প্রসঙ্গও। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মহম্মদ আলি পার্কের ভূগর্ভস্থ জলাধারটি (Underground Tank) ব্রিটিশ আমলের। তিন বছর আগে সেই জলাধারেই ফাটল দেখা যায়। ওই জলাধারের উপরেই মণ্ডপ তৈরি করেছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। তবে পুরসভা (KMC) নোটিশ দেওয়ার পর সরানো হয়েছে মণ্ডপ। ফিরহাদ বলেন, পুজো হচ্ছে। যেখানে জলাধার নেই সেই জায়গায় মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে।

কলকাতার মেয়র এদিন আরও জানিয়েছেন, “কচুরিপানা থেকে শিল্প গড়ে তোলার পাশাপাশি মৎস্য দফতর এবং স্থানীয় ক্লাবগুলির কাছেও জলাশয়ে মাছ চাষ করার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছি আমরা। ফলে সব মিলিয়ে জলাশয়গুলি রক্ষার মাধ্যমে শিল্প গড়ে তোলাই এখন সরকারের মূল লক্ষ্য।” মেয়র এদিন আরও বলেন, “শহরে জলাশয় রক্ষায় ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুরসভা। সমস্ত জলাশয় যাতে ভরাট না হয়, বা কচুরিপানার জন্য যাতে ডেঙ্গু, ম্যালারিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য রাজ্য সরকারের মাঝারি, ছোট ও ক্ষুদ্র শিল্প দফতরকে জলাশয় থেকে কচুরিপানা তুলে উত্তর ২৪ পরগনায় একটি কারখানা দিয়ে দেওয়া হবে”। আর এই কচুরিপানা দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করার কাজে ব্যবহার করা হবে বলে জানান মেয়র।
