শাসক দলের দুর্নীতি নিয়ে বামেরা আক্রমণ করলেই পাল্টা তৃণমূল নেতৃত্বে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কথা উদ্ধৃত করেন। তিনদশক আগে ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে জ্যোতি বসুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। একইসঙ্গে একটি খবর রটে। পদত্যাগ করার আগে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য না কি বলেছিলেন, “চোরেদের মন্ত্রিসভায় থাকতে চাই না”। সেই কথা প্রসঙ্গ তুলে বামেদের প্রায় খোঁচা দেয় বিরোধীরা। কয়েকদিন আগে একটি বেসরকারি নিউজ চ্যানেলের বিতর্ক সভায় এই প্রসঙ্গে স্বয়ং বুদ্ধ-কন্যা সুচেতনাকে উদ্ধৃত করে মন্তব্য করেন সিপিআইএমের বরিষ্ঠ নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য (TanmayBhattacharya)। তবে সেই কথার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুচেতনা।

কী বলেছিলেন তন্ময়?
অনুষ্ঠানে তন্ময় বলেন, “কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় সুচেতনা বলেছিলেন, আমার বাবা অসৎদের সঙ্গে থাকতে চান না।”

পাল্টা সচেতনার মত
এই মন্তব্য ঘিরেই যখন শোরগোল, তখনই বোমা ফাটালেন সুচেতনা ভট্টাচার্য (Suchetana Bhattacharya)। তন্ময়ের কথার তীব্র প্রতিবাদ করে বুদ্ধ-কন্যার মন্তব্য চোরেদের ক্যাবিনেটে বাবা থাকতে চান না, একথা আমি বলিনি। আমি তখন কলেজ নয়, স্কুলের পড়ুয়া। একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে আমি শুধু বলেছিলাম, বাবা সৎ। তন্ময় ভট্টাচার্য কোথা থেকে জানলেন এই তথ্য? বলার আগে উনি আমায় ফোন করে জেনে নিতে পারতেন”।

বুদ্ধ-কন্যার মন্তব্য নিয়ে আবার মুখ খুলেছেন তন্ময়ও। তাঁর কথায়, “আমার বাবা সৎ। আমি সুচেতনাকে রেফার করে বলেছি, ওর বাবা অসৎদের সঙ্গে থাকবেন না। এর মধ্যে তফাৎ তো কিছু নেই। একথা ঠিক, সুচেতনাকে ফোন করিনি। ও তো ফোন করতে পারত। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আমার পার্টির নেতা, সুচেতনা তো নয়। বুদ্ধদেবকে ডিফেন্ড করা আমার কর্তব্য।”

তন্ময় ভট্টাচার্যের এই মন্তব্যের পর ফের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সুচেতনা। তাঁর মতে, “তন্ময় ভট্টাচার্যের মতো নেতা এটা বলেছেন বলে সংশোধন করা প্রয়োজন বলে মনে করেছি”।
তবে, এসবের মধ্যে কোন মন্তব্য করেনি আলিমুদ্দিন। বিষয়টা নিয়ে প্রায় সাপের ছুঁচো গেলার মতো অবস্থা হয়েছে। তাদের এখন “শ্যাম রাখি না কুল রাখি”র মতো পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
