ভারত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতাচ্ছে চিন! ইডির হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

ঋণ অ্যাপ (Loan Services App) ও বেটিং চক্রের (Betting App) নামে ভারত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতাচ্ছে চিনা জালিয়াতরা (Chinese Fraud)। তাঁদের সাহায্য করছে ভারতীয় সহযোগী, যাঁরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দা। সম্প্রতি কয়েকটি জালিয়াতির তদন্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হাতে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। ইডি আধিকারিকদের অভিযোগ, শতাধিক চাইনিজ অ্যাপ (Chinese App) ব্যবহার করে এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের (Charterd Accountants) সাহায্য নিয়ে টাকা হাতাচ্ছে চিন। যার জেরে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্যে নিয়ে চিনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। এইসঙ্গে ইডির অনুরোধে দেড়শোর উপর ভুয়ো চিনা ঋণ অ্যাপ এবং বেটিং অ্যাপ মুছে ফেলেছে সার্চ ইঞ্জিন সংস্থা গুগল (Search Engine Google)। কিন্তু তারপরও নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে চিনা জালিয়াতরা প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। যার জেরে রীতিমতো কপালে চিন্তার ভাঁজ তদন্তকারী আধিকারিকদের।

ইডির তদন্তে আরও জানা গেছে, কিছু চিনা নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে একাধিক ভারতীয় সংস্থা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে চিনে পাঠিয়ে দিয়েছে। তবে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (Financial Intelligence Unit) কোনওভাবে দেশ থেকে অর্থ পাচারের ঘটনা এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আনতে পারেনি। তবে ইতিমধ্যে ভারতে লোন, ডেটিং ও বেটিং সম্পর্কিত শতাধিক চীনা মোবাইল অ্যাপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই অ্যাপগুলি সরাসরি চিন থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়। এজেন্সি অনুসারে, শুধুমাত্র বেটিং অ্যাপগুলিই ১৩০০ কোটি টাকা ভারত থেকে আয় করেছে৷

গত কয়েক মাসে ভুয়ো ঋণ অ্যাপ সংক্রান্ত শতাধিক জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তারই ভিত্তিতে তদন্ত চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। অতি সহজে ঋণ দেওয়ার নাম করে কোনও মেসেজ বা লিংক পাঠানো হলে যাতে কেউ তাতে ক্লিক না করেন, বা সাড়া না দেন ইডির পক্ষ থেকে এমনই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত বছর উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সহ একাধিক রাজ্য থেকে ধরা পড়ে একাধিক চিনা নাগরিক। তাদের জেরা করে ভুয়ো ঋণ অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় সঙ্গীদের বিষয়টি সামনে আসে। জানা যায়, চিনারাই এই লোন অ্যাপগুলি তৈরি করে। এরপর সারা দেশের পুলিশ সতর্ক হয়। কিন্তু পরবর্তীতে পদ্ধতি পাল্টে ফেলে চিনা জালিয়াতরা। ইডি জানিয়েছে, চিনা ওয়েবসাইটগুলি টেলিগ্রাম (Telegram) এবং হোয়াটসঅ্যাপের (Whatsapp) মাধ্যমে তৈরি বিশেষ ক্লোজড গ্রুপের মাধ্যমে গ্রাহকদের আকর্ষণ করার জন্য এজেন্টও নিয়োগ করেছিল।

Previous articleদ্রাবিড়ের মধুচন্দ্রিমা শেষ হয়ে গিয়েছে, বললেন ভারতের প্রাক্তন নির্বাচক সাবা করিম
Next articleAnjan Dutta: ‘বেলা বোসের জন্য’ এবার আইনি সমস্যায় জড়ালেন অঞ্জন দত্ত