পর্যাপ্ত খাবার নেই! পেটের টানে সীমান্ত পেরিয়ে সুন্দরবনে বাড়ছে বাঘের সংখ্যা

একসময় চোরাশিকারিদের (Poachers) তাণ্ডবে ক্রমশ কমে যাচ্ছিল বাংলার গর্ব রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা। তবে রাজ্য সরকার বাঘেদের সুরক্ষায় জোর দিতেই সেই তাণ্ডবের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। যার ফলে ফের বাড়ছে বাঘের সংখ্যা।

জঙ্গলে বাঘের পর্যাপ্ত খাবার নেই। আর সেই টানেই বাংলাদেশের সীমান্ত (Bangladesh Border) পেরিয়ে ভারতে চলে আসছে বাঘেরা। এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এসেছে। একসময় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের (Royal Bengal Tiger) সংখ্যা কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েন প্রকৃতিপ্রেমীরা (Nature Lovers)। তবে সময় যত গড়িয়েছে ধীরে ধীরে দেখা যাচ্ছে ওপার বাংলার সীমান্ত পেরিয়ে সুন্দরবনে (Sunderban) বাড়ছে বাঘের সংখ্যা। বাংলাদেশ থেকে দলে দলে রয়্যাল বেঙ্গল জায়গা করে নিচ্ছে এপার বাংলার সুন্দরবনে। একসময় চোরাশিকারিদের (Poachers) তাণ্ডবে ক্রমশ কমে যাচ্ছিল বাংলার গর্ব রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা। তবে রাজ্য সরকার বাঘেদের সুরক্ষায় জোর দিতেই সেই তাণ্ডবের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। যার ফলে ফের বাড়ছে বাঘের সংখ্যা।

বৃহস্পতিবার রাজ্যের বনমন্ত্রী (Forest Minister) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mallick) দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে এই মুহূর্তে রয়্যালল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা কমপক্ষে ১২৩টি। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বনমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, জঙ্গলে খাবারে টান পড়লেই বাঘ গ্রামে ঢুকে পড়ে। আর সেকারণেই বাঘ নিয়ে মাস্টার প্ল্যা্ন (Master Plan) তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাঘের খাদ্যের ভাঁড়ারে যাতে কোনওভাবেই টান না পড়ে, তা নিয়েও স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রুটিনমাফিক নৌকায় চাপিয়ে হরিণ ও শুয়োর নিয়মিত ছেড়ে দিয়ে আসা হয় গভীর জঙ্গলে বাঘের কোর এলাকায়। আর অন্যদিকে বাংলাদেশের জঙ্গলে খাবার নেই। তাই বাঘ এদেশে চলে আসছে বলে খবর। বাংলাদেশে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ১২০-তে এসে ঠেকেছে। বাকিরা সবাই সুন্দরবনে।

সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। তার মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশের অন্তর্গত প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার। বাকি ৪ হাজার কিলোমিটার ভারতের আওতায়। আয়তনে বড় হলেও বাংলাদেশের জঙ্গলে বাঘেদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার নেই বললেই চলে। এদিকে বৃহস্পতিবারই বিধানসভায় (West Bengal Assembly) গন্ডার সংরক্ষণ সংক্রান্ত (Rhino Conservation) পুরনো আইন প্রত্যাসহার করে একটি বিল জমা দিয়েছেন বনমন্ত্রী। এই বিল পাশ হলে গন্ডার শিডিউল-এ ক্যা টাগরি হিসাবে বন্যয়প্রাণ সংরক্ষণ আইনের (Wildlife Conservation Act) অন্তর্ভুক্ত হবে। সেক্ষেত্রে গন্ডার শিকারের শাস্তি আরও কঠোর হবে। এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আরও জানান, শুধু বাঘ নয়। আমাদের বুনো হাতি ও বাইসন নিয়েও চিন্তা রয়েছে।

Previous articleকলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর জালে নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য
Next articleউজবেকিস্তানে মোদি, বৈঠক পুতিনের সঙ্গে ,মঞ্চে কী জিনপিং-ও?