নগদে বেনামী অনুদান! রাজনৈতিক দলগুলির কোষাগারে এবার কোপ মারতে চলেছে কমিশন

জাতীয় নির্বাচন কমিশননের পক্ষ থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারএই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে একটি চিঠি দিয়েছেন

দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি অনুদান পায়। ও অনেকাংশে সেই অনুদানের কোনও সরকারি নথি থাকে না। অর্থাৎ, কে বা কারা সেই অনুদান দিল, তার কোনও তথ্য রাজনৈতিক দলগুলো দিতে পারে না বা তাদের কাছে থাকে না। এবং এই লেনদেন হয় নগদে। এভাবেই অনেক রাজনৈতিক দলের কোষাগার ফুলেফেঁপে ওঠে বেনামী অনুদান। এভাবে অনেক কর্পোরেট সংস্থা, ব্যবসায়ীরা বেনামে রাজনৈতিক অনুদান দিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে। ফলে কালো টাকার পরিমাণ বেড়ে যায়। এবার সেই কালো টাকাতেই কোপ মারতে চায় নির্বাচন কমিশন।

জাতীয় নির্বাচন কমিশননের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি নিয়ে
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার সেই চিঠিতে লিখেছেন, রাজনৈতিক দলগুলিতে নগদ অনুদান সীমাবদ্ধ করার কথা। যেখানে কালো টাকার মাধ্যমে নির্বাচনী তহবিল নির্মূল করতে বেনামী রাজনৈতিক অনুদানের পরিমাণ ২০ হাজার থেকে কমিয়ে ২ হাজারে আনার প্রস্তাব করেছেন
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। ভোটের প্যানেল জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে বিভিন্ন সংশোধনের সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে এই চিঠি লেখা হয়েছে জানা গিয়েছে।

কমিশন সূত্রে খবর, বেশকিছু রাজনৈতিক দল ২০হাজার টাকার উপরে অবদান শূন্য হিসাবে দেখিয়েছে। অন্যদিকে, তাদের অডিটেড অ্যাকাউন্টের বিবৃতিতে প্রচুর রসিদ দেখানো হয়েছে, যা সবই ২০ হাজার টাকার সীমার তুলনায় কম। কমিশন নির্বাচনী তহবিল থেকে কালো টাকা কমানোর জন্য নগদ অনুদান ২০ শতাংশ অথবা সর্বোচ্চ ২০ কোটি টাকায় সীমিত করারও প্রস্তাব করেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রার্থীকে নির্বাচন সংক্রান্ত অর্থ প্রদান এবং নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব কর্তৃপক্ষের কাছে স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করতে হবে।

আরও পড়ুন:পুজোর আগে ভয়াবহ আগুন শহরের নামী পানশালায়, বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

Previous articleপুজোর আগে ভয়াবহ আগুন শহরের নামী পানশালায়, বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
Next articleজাতীয় সড়ক ও রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ কুড়মি সম্প্রদায়ের , দুর্ভোগে যাত্রীরা