খায়রুল আলম, ঢাকা
হিন্দুদের (Hindu) অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব মানে দুর্গাপুজো (Durga Puja)। চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মা দুর্গার চিন্ময়ী রূপের মৃন্ময়ীতে আবাহনের পালা। অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা করতে প্রত্যেক বছর আশ্বিন মাসে ভগবতী আসেন তাঁর বাপের বাড়িতে। পিতৃপক্ষের অবসানে সূচনা হয় দেবীপক্ষের। তিথি নক্ষত্র মেনে বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে আজ মহালয়ার উদযাপন।
ভোর থেকেই চূড়ান্ত ব্যস্ততা ঢাকা (Dhaka) শহরজুড়ে। ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলা প্রাঙ্গণের কেন্দ্রীয় পুজোমণ্ডপে, ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramakrishna math and Ramakrishna mission), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) জগন্নাথ হল, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, রমনা কালী মন্দির, স্বামীবাগের লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দির, রামসীতা মন্দির, জয়কালী মন্দিরসহ বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে ভোরেই চণ্ডীপাঠের মধ্যে দিয়ে বিশেষ পুজো করে মহালয়ার ঘট স্থাপন করা হয়।মহালয়া মানেই আর মাত্র দিন সাতেকের প্রতীক্ষা। শাস্ত্র মতে মহালয়াতেই দেবীর চক্ষু দান করা হয়।আগামী ১ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপুজোর মাধ্যমে এবছরের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে যাবে। করোনা, অর্থনৈতিক মন্দা সবকিছুকে কাটিয়ে এ বছরের দুর্গা পুজো ঘিরে বাংলাদেশ জুড়ে রয়েছে উন্মাদনা। সকাল ছটায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়া তিথির বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে মহানগর সর্বজনীন পুজো কমিটি সূত্রে জানা যায়। হিন্দু পুরান মতে মহালয়া দিনটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। মহালয়া তিথিতে যাঁরা পিতৃ-মাতৃহীন তাঁরা তাদের পূর্বপুরুষের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি অর্পণ করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে আগমন ঘটে। মৃত ব্যক্তির আত্মার যে সমাবেশ হয় তাকে মহালয়া বলা হয়।অর্থাৎ মহালয় থেকে মহালয়া। পিতৃপক্ষের শেষদিন এটি, এরপরই দেবীপক্ষের সূচনা।