এদেশে CPB-র সাধারণ সম্পাদক রুহিন, ভাঙা পালে হাওয়া দিতে মরিয়া আলিমুদ্দিন

বিধানসভায় শূন্য। জনভিত্তিতেও তলানিতে। হারানো জমি ফিরে পাওয়ার আশায় চেষ্টায় বৃদ্ধতন্ত্র সরিয়ে, তরুণ ব্রিগেডকে সামনে আনতে চাইছে আলিমুদ্দিন। ভাঙা পালে হাওয়া দিতে এবার CPB-কেও কলকাতায় সাদর আমন্ত্রণ সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের। মঙ্গলবার, কলকাতায় রাজ্য দফতরে আসেন কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ (CPB)-র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হুসেইন প্রিন্স (Ruhin Hussain Prince)। এদিন তাঁকে সম্মান জানান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Selim), বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu), পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোম (Ramchandra Dom) সহ পার্টির রাজ্য নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন: কমছে বামেদের চাপিয়ে দেওয়া ঋণের বোঝা, মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে রাজ্য: চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

কিছুদিন আগেই শহর কলকাতায় ‘ইনসাফ সভা’ (Insaaf Rally) থেকে শুরু করে কলকাতা পুরসভা (KMC) অভিযান, একের পর এক কর্মসূচিতে তিলোত্তমাকে অশান্ত করার মরিয়া চেষ্টা করলেও তা চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়। সিপিএমের বৃদ্ধ নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা রাজ্যবাসীর কাছে খুবই কম। আর সেকারণে রাজ্যের তথা দেশের মাটিতে তল না পেয়ে এবার বিদেশের মাটিকে আঁকড়ে ধরে হালে পানি পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে সিপিএম (CPIM)।

দলে যুবদের (Youth) হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। তবে ক্ষমতা যে বড় বালাই। তাই মুখে আদর্শের বাণী আওড়ালে বাম শিবির যুব সমাজের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী কি না তা নিয়ে সন্দেহ। আর সেকারণেই বর্তমানে ফ্রন্ট ফুটে না খেলে কিছুটা বুঝে অর্থাৎ নিজেদের ব্যাক ফুটে সরিয়ে তরুণ প্রজন্মের নেতা-নেত্রীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাজ্যবাসীর মন ছুঁতে চাওয়ার প্রবল চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু সবকিছু করলেও লাভের লাভ যে কিছুই হচ্ছে না তা ঠারে ঠারে বুঝতে পারছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই লাস্ট বয় হয়েও মাটি আঁকড়ে কিছুটা হলেও নিজেদের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে বাম শিবির। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।

Previous articleবেআইনি ভাবে নিযুক্তরা নিজে থেকে ইস্তফা না দিলে কড়া পদক্ষেপ: হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
Next articleবিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর ৯ মাসের পর নয়া CDS পেল ভারত