কংগ্রেসে এখনও শেষকথা গান্ধী পরিবার, দলিত নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের সভাপতি হওয়া সময়ের অপেক্ষা

গতকাল, শুক্রবার ছিল সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়নের শেষ দিন। কংগ্রেসের একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও এই মনোনয়ন পর্বের দিকে নজর ছিল গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলের। গান্ধী পরিবার থেকে এবার কেউ সভাপতি হচ্ছেন না সেটা সোনিয়া আগেই ঘোষণা করেছিলেন। তাই তাঁদের প্রতিনিধি হয়ে এবার কে কংগ্রেস সভাপতির ব্যাটন হাতে নেওয়ার দৌড়ে থাকে, সেটাই ছিল দেখার। শুরু থেকেই একের পর এক নাটক। রাজস্থান ও গেহলট পর্বের পর ফের একপ্রস্থ নাটক হয়ে গেল মনোনয়নের শেষদিনে।

আরও পড়ুন:রাজস্থান নাটকের পর গান্ধী পরিবারের সমর্থনে কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে দিগ্বিজয় সিং

শশী থারুর শুরু থেকেই জানিয়ে ছিলেন তিনি সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন দেবেন। এবং সেটাই করেছেন। অন্যদিকে, গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন দিগ্বিজয় সিং প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। কিন্তু একেবারে শেষমুহূর্তে নাটকীয় পট পরিবর্তন। শশী থারুরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হলেন গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। নাটকের এখানেই শেষ নয়, শেষদিনে মনোনয়ন জমা দিলেন ঝাড়খণ্ডের নেতা কে এন ত্রিপাঠি। ফলে লড়াই এবার ত্রিমুখী।

তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। নাটক আরও বাকি। আগামী ৮ অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন। অবাক হওয়ার কিছু নেই, যদি দেখা যায়, সর্বসম্মতভাবে কংগ্রেস সভাপতি হলেন কর্ণাটকের দলিত নেতা খাড়গে। এদিকে খাড়গে প্রার্থী হওয়ায় দলের “এক ব্যক্তি এক পদ” নীতি মেনে এবার রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ছেড়ে দেবেন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর জায়গায় আসবেন দিগ্বিজয় সিং।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২২ বছর পর ফের কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচন হবে। শেষবার এই নির্বাচন হয়েছিল ২০০০ সালে। বিপক্ষ প্রার্থী জিতেন্দ্র প্রসাদকে হারিয়ে সভানেত্রী হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এবার গান্ধী পরিবার থেকে সরাসরি এই। নির্বাচনে কেউ অংশ না নিলেও কংগ্রেসে এখনও শেষকথা গান্ধী পরিবার তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ভোট হোক কিংবা না হোক, মল্লিকার্জুন খাড়গের এখন কংগ্রেস সভাপতি হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

Previous articleউৎসবের মরশুমেও রেহাই নেই, দাম বাড়ল প্রাকৃতিক গ্যাসের
Next articleষষ্ঠীতে সুখবর! দাম কমল বাণিজ্যিক গ্যাসের