প্রকাশ্যে বিজেপির বদলা তত্ত্ব! জানিয়েই পদ থেকে সরানো হয়েছে সুদীপকে

অভিযোগ, রাজ্য বিধানসভার পিএসি-র বদলা সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে নেওয়া হয়েছে।

রাজ্য বিধানসভায় বিজেপিকে কোনও স্থায়ী কমিটিতে স্থান দিচ্ছে না। তাই আমরা আপনাদের কোনও কমিটি দেব না।- সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে তৃণমূল (TMC) সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sudip Banerjee) সরিয়ে দেওয়ার আগে একথা জানিয়েছিলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Yoshi)। বিস্ফোরক দাবি করেছেন সুদীপ। তার অভিযোগ, রাজ্য বিধানসভার পিএসি-র বদলা সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সাংসদের বলেন, পিএসসি-র সহ বিধানসভার ৯ টি কমিটির চেয়ারম্যানের পদ বিজেপি নেয়নি বলেই তাঁকে জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Bandopadhyay)।

প্রতি বছর অগাস্ট- সেপ্টেম্বরে বিভিন্ন সংসদীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিগুলির চেয়ারম্যান পদে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের বসানোই প্রথা। সেই মতোই খাদ্য ও উপভোক্তা সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় বসানো হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে (Locket Chatterjee)। এই একটি কমিটিতেই চেয়ারম্যানের পদ ছিল তৃণমূলের দায়িত্বে। কিন্তু এবার সেটা থেকেও তাদের সরানো হল। ফলে আপাতত কোনও কমিটির চেয়ারম্যান পদে নেই তৃণমূল। তবে অন্যান্য স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা।

সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে বাদ পড়ে বিস্ফোরক দাবি করেন সুদীপ। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে অর্থাৎ তৃণমূলকে যে রাখা হবে না সে বিষয়ে সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী তাঁকে জানিয়েছিলেন। “তৃণমূল পরিচালিত সরকার বিধানসভায় বিজেপিকে কোনও স্থায়ী কমিটিতে স্থান দিচ্ছে না বলেছিলেন। বিশেষ করে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। তাই আমরা আপনাদের কোনও কমিটি দেব না।’

সম্পূর্ণ বিষয়টি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান রাজ্য বিধানসভার স্পিকারকে। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, এ কথা সম্পূর্ণ অসত্য। পিএসি-র চেয়ারম্যান পদ বিজেপির নির্বাচিত বিধায়ককেই দেওয়া হয়েছিল। তারপরে তিনি কোন দলে থাকছেন, না চলে যাচ্ছেন, সেটা দেখা দায়িত্ব তাঁর নয়। এদিকে পিএসসি-র দায়িত্ব না পেলে কোনও কমিটির দায়িত্ব-ই নেব না বলে কোনও কমিটিরই দায়িত্ব নিতে চায়নি বিজেপি। তৃণমূলই একমাত্র দল যাদের লোকসভা, রাজ্যসভা মিলিয়ে ৩৫ জন সাংসদ রয়েছে। দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলের থেকে পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় যে বিজেপি রাজনীতি করেছে তা স্পষ্ট। বাংলা পরিষদীয় কমিটি দেওয়া সত্ত্বেও নেয়নি বিজেপি। তৃণমূলের ওপর বদলা নিচ্ছে তারা।

 

 

Previous articleEntertainment: রূপান্তরকামীর ভূমিকায় সুস্মিতা সেন! সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল ফার্স্ট লুক
Next articleWeather forecast: লক্ষ্মী পুজোতেও বৃষ্টি ভিজবে বাংলা, আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস