হরিদেবপুর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, মত্ত অবস্থায় বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিলেন অয়ন মণ্ডল!

দশমীর দিন রাত ১১ নাগাদ মত্ত অবস্থায় বান্ধবীর রমাকান্তপুরের উদয়াঞ্চলের বাড়িতে গিয়েছিলেন অয়ন।

হরিদেবপুর কাণ্ডে চাঞ্চলককর তথ্য সামনে এলো । মত্ত অবস্থায় বান্ধবীর বাড়িতে পৌঁছেছিলেন অয়ন মণ্ডল! আর এই তথ্যই মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে তদন্তের, মনে করছে পুলিশ । জানা গিয়েছে, দশমীর দিন রাত ১১ নাগাদ মত্ত অবস্থায় বান্ধবীর রমাকান্তপুরের উদয়াঞ্চলের বাড়িতে গিয়েছিলেন অয়ন। কিন্তু অয়ন সেখানে পৌঁছে দেখেন, তাঁর বান্ধবী বাড়িতে নেই। বান্ধবীকে বাড়িতে না পেয়ে বিরক্ত হয়ে বান্ধবীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন অয়ন। এমনকি এও জানা গেছে, বান্ধবী বাড়ি ফিরে এলে অয়ন তাঁকে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। বান্ধবীর মা রুমা জানা এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে অয়ন তাঁকেও মারধর করেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এই সময় অয়নের বান্ধবীর ভাই চিৎকার শুনে ঘরে ঢোকে এবং অয়নকে আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও মদ্যপ অয়নকে থামানো যায়নি। এর পরই দিদি এব‌ং মায়ের কথা শুনে একটি ইট জাতীয় ভারী বস্তু দিয়ে অয়নের মাথায় আঘাত করে। চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অয়ন।
জানা গিয়েছে, এর পরই অয়নের বান্ধবীর বাবা দীপক জানা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। বাবার নির্দেশে অয়নের বান্ধবীর ভাই, তার দুই বন্ধুকে ডেকে পাঠায়। তারাই দু’হাজার টাকার বিনিময়ে কুঁদঘাট থেকে একটি ‘ছোটো হাতি ভাড়া করে’।
ওই গাড়ির চালক কুঁদঘাট থেকে গাড়ি নিয়ে হরিদেবপুরে পৌঁছন। গাড়িতে মৃত দেহ তোলা হচ্ছে বুঝতে পেরে গাড়ির চালক তা নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। কিন্তু পরে আরও বেশি টাকার লোভে রাজি হয়ে যান বলে জানা গিয়েছে।এর পরই অয়নের মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে মগরাহাটের কাটপোলের কাছে করিমাবাদে ফেলে দেওয়া হয়। মগরাহাটের ওই জায়গা থেকেই পরে পুলিশ অয়নের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

Previous articleকার্নিভালে আচমকা ষাঁড়ের তাণ্ডব, রায়গঞ্জে মৃত এক
Next articleকেরালার কাছে হারের পর কী বললেন লাল-হলুদ কোচ?