সোনালিকে উপাচার্য পদে নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুনরায় নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি ওঠে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যপালের এক্তিয়ার তথা অধিকারে দখলদারি করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। যা আইনবিরুদ্ধ।

আরও পড়ুন:কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনরায় নিয়োগের রাজ্যের সিদ্ধান্ত খারিজ হাইকোর্টে

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে গত বছর তৎকালীন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত তৈরি হয়েছিল নবান্নর। এরপর রাজ্যপালের মতামত না নিয়েই ২০২১ সালের ২৭ অগস্ট একটি বিবৃতি জারি করে সরকার জানিয়ে দেয়, ২৮ অগস্ট থেকে চার বছরের জন্য সোনালি চক্রবর্তীকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ করা হল।

সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। তাঁর বক্তব্য ছিল, যে ভাবে সোনালি চক্রবর্তীকে উপাচার্য পদে পুনরায় নিয়োগ করা হয়েছে তাতে ‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৯’-এর শর্ত লঙ্ঘন করা হয়েছে। হাইকোর্টে সেই যুক্তি মেনে নিয়ে সোনালি চক্রবর্তীর নিয়োগ খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য।

রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী মনু সিঙ্ঘভি। ওই মামলার শুনানির পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর রায় দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলি। এদিন চূড়ান্ত রায়ে তাঁরা বলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে যে ‘সমস্যার অপসারণে’র ধারা (রিমুভাল অফ ডিফিকাল্টি) রয়েছে, তার অপব্যবহার করে ওই নিয়োগ করা হয়েছে। আর তা করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য যে রাজ্যপাল, তাঁর ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।

Previous articleসারদার দেওয়া টাকার রসিদে কেন সই নেই? জেরায় সদুত্তর দিতে পারেননি শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু
Next articleচেন্নাইয়ান এফসির কাছে হারের পর কী বললেন বাগান কোচ?