পেশার শিক্ষক হয়েও কীভাবে ৯ বছরে ৩০ গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধি অনুব্রত কন্যার? তদন্ত CBI

গরু পাচার মামলায় সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondal)। তাঁর গ্রেফতারি পর সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে তার কন্যা সুকন্যার(Sukanya Mondal) নাম। তথ্য বলছে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা হয়েও মাত্র নয় বছরে অনুব্রতর মেয়ের সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ। যে সকল সংস্থার মালিক সুকন্যা মাত্র কয়েক বছরে সেগুলির কোনোটির আয় বেড়েছে ৮০ গুণ তো কোনটির ১৫০ গুণ। সুকন্যা মণ্ডলের এহে সম্পত্তি বৃদ্ধিতে ভ্রু কুঞ্চিত হয়েছে সিবিআইয়ের(CBI)। কিভাবে একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকার এমন বিপুল আয় তার তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

গত ১০১৮-১৯ সালে এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড নামে সংস্থাটির আয় ছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৪৬ টাকা। এর পরের আর্থিক বর্ষে এই আয় বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়ায় ৯ লক্ষ ২৯৪ টাকা। পরের আর্থিক বর্ষ, অর্থাৎ ২০২০-২১ সালে এক লাফে এই আয়ের পরিমাণ হয় ১ কোটি ৪৯ লাখ ১৪ হাজার ১০ টাকা। যদিও পরের বছর, ২০২১-২২ সালে সংস্থার আয় কমে হয় ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩০ টাকা। কীভাবে দু’বছরে সুকন‌্যা মণ্ডল ও বিদ্যুৎবরণ গায়েনের আয় দু’বছরে সোয়া এক লক্ষ টাকা থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা নিয়ে সিবিআই প্রশ্ন করেছে। ওই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস সম্পর্কে খতিয়ে দেখতে, ইতিমধ্যেই নোটিশ পাঠিয়ে সংস্থার আয়ের নথি খতিয়ে দেখতে চেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি অনুব্রত কন্যার আরো যে সমস্ত সংস্থা রয়েছে এবং মাত্র কয়েক বছরে তার যে বিপুল পরিমাণ আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত নথি চাওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের বিপুল সম্পত্তি এখন সিবিআইয়ের র্যাডারে।

প্রসঙ্গত, বীরভূমে ফের সক্রিয় সিবিআই (CBI)। গরুপাচার মামলায় একাধিক অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরমধ্যে অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডলের মালিকানাধীন সংস্থাও রয়েছে। আগামী সোমবারের মধ্যে সংস্থার সমস্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নোটিস পাঠানো হয়েছে অনুব্রতর ভাগ্নে রাজা ঘোষ-সহ একাধিক চালকলের মালিককেও।

Previous articleভিন্নমত দুই সুপ্রিম বিচারপতির, বৃহত্তর বেঞ্চে গেল হিজাব মামলা
Next articleকেরলে নর*খাদক! নৃশংস ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড়