ভিন্নমত দুই সুপ্রিম বিচারপতির, বৃহত্তর বেঞ্চে গেল হিজাব মামলা

হিজাব মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে দুই বিচারপতির ভিন্নমত। কর্নাটক সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দিলেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা। অন্যদিকে, কর্নাটক হাইকোর্টের রায় খারিজ করে মামলাকারীদের আবেদন মেনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন বিচারপতি সুধাংশ ধুলিয়া।বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির মতামত আলাদা হওয়ায় মামলা গেল বৃহত্তর বেঞ্চে।এবার এই মামলার সিদ্ধান্ত নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।

আরও পড়ুন: হিজাব বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ইরান, মৃতের সংখ্যা অন্তত ৯২

চলতি বছরের শুরুতেই কর্নাটকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে প্রবেশ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।এরপরেই স্কুল-কলেজে হিজাব পরে ক্লাসে ঢোকা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি হয়।কর্নাটক হাইকোর্ট সেই নির্দেশিকা বহাল রাখলে মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে।সেই রায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম ছাত্রীদের আবেদনের ধারাবাহিক শুনানির পর ২২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে নিজেদের রায় সংরক্ষিত রেখেছিল বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি ধুলিয়ার মতে, ধর্মাচরণ প্রত্যেকের নিজস্ব পছন্দের বিষয়। সংবিধানের ১৪ ও ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত ভুল। তিনি বলেন, ‘ওই ছাত্রীদের পড়াশোনাটাই আমার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কি তাঁদের জীবনে আলো দেখাতে পারছি?’

অন্যদিকে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা বলেন, ‘আমার রায়ে ১১ টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। আমি আবেদন খারিজ করার প্রস্তাব দিচ্ছি।’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার পক্ষেই রায় দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিয়ে বছরের শুরুতে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয় কর্নাটকের উদুপিতে। এরপরেই ৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে ক্লাস করা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করে কর্নাটক সরকার। সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় কর্নাটক হাইকোর্টে। কর্নাটক হাইকোর্ট সরকারের রায় বহাল রাখলে, মামলাকারীরা শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন।

Previous articleখাবার না পেয়ে গাড়ি চালিয়ে রেস্তরাঁ কর্মীদের ধাক্কা মারার চেষ্টা মন্ত্রীর ভাইপোর
Next articleপেশার শিক্ষক হয়েও কীভাবে ৯ বছরে ৩০ গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধি অনুব্রত কন্যার? তদন্ত CBI