রিলকে হার মানালেন দম্পতি! নেতা-মন্ত্রীদের ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ অর্চনা-জগবন্ধুর

রিল লাইফকে হার মানালেন বাস্তবের অর্চনা (Archana Nag)। সম্প্রতি মন্ত্রী (Minister), বিধায়ক (MLA) সহ এলাকার ধনী, প্রভাবশালীদের ফাঁসিয়ে মাত্র চার বছরেই ৩০ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তির (Property) মালকিন ভুবনেশ্বরের (Bhubaneshwar) অর্চনা নাগ। যাকে নিয়ে ইতিমধ্যে তোলপাড় দেশ তথা রাজ্য রাজনীতি। গত ৬ অক্টোবর অর্চনাকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিশ (Police)। তারপর থেকেই ভুবনেশ্বরের ঝড়পাড়ার বিশেষ জেলে জায়গা হয়েছে এই সিরিয়াল ব্ল্যাকমেলারের (Serial Blackmailer)। তবে জেল সূত্রে খবর, জেলে এসে বিন্দুমাত্র অনুতাপ (Repentance) নেই তাঁর। জেলে আসার পর অর্চনার এমন স্বাভাবিক আচরণ দেখে তাজ্জব পুলিশ থেকে কয়েদিরাও (Prisoners)। তবে অর্চনাকে দেখতে এবং তাঁর জীবনের গল্প শুনতে অন্যান্য কয়েদিদের উৎসাহ চরমে। কিন্তু তাঁদের বিশেষ পাত্তা দিচ্ছেন না জেলবন্দী অর্চনা। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে কী খবর দেখানো হচ্ছে সেবিষয়েও খবরাখবর নিচ্ছেন অভিযুক্ত।

পুলিশ জানিয়েছে, অর্চনা এবং জগবন্ধু ধনী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করত এবং তাদের যৌনচক্রের সদস্য মহিলাদের একাধিক মানুষের কাছে পাঠাত। পুলিশের দাবি, গোপনে প্রভাবশালী ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে মহিলাদের অন্তরঙ্গ ছবি তোলা হত। আর সেই ছবি দেখিয়েই পরবর্তীকালে অর্থের জন্য চাপ দেওয়া হত ওই প্রভাবশালীদের (Influential)। অন্ত*রঙ্গ মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি (Threats) দিয়ে, অর্থ আদায় করত ভুবনেশ্বরের ওই দম্পতি।

এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, এভাবে ২০১৮ থেকে ২০২২ – মাত্র চার বছরেই জগবন্ধু ও অর্চনা ৩০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি অর্জন করেছিল। এতদিন ধরে এই কারবার চালিয়ে আসলেও, এখনও পর্যন্ত অধরাই ছিল এই ব্ল্যাকমেলার দম্পতি। অন্যদিকে, অর্চনার যৌ*নচক্রের সদস্য আরেক মহিলা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে জোর করে এই র্যাইকেটে (Racket) ব্যবহার করা হয়েছিল।

এরপরই গত ৬ অক্টোবর অর্চনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ব্ল্যাকমেলের শিকার হওয়া ভুক্তভোগীরা যদি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে, তবে পুলিশ অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আপাতত, পুলিশ অর্চনার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট (Bank Statement) ও সম্পত্তির পরিমাণ (Property Amount) খতিয়ে দেখছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কালাহান্ডির লানজিগড়ে জন্ম অর্চনার। বড় হয়েছেন ওই জেলারই কেসিঙ্গাতে। স্কুলজীবন শেষ করে ২০১৫ সালে ভুবনেশ্বরে আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে আসেন অর্চনা। আর তারপর থেকেই অল্প সময়ে কীভাবে বেশি টাকা উপার্জন করা যায় সেই রাস্তা খুঁজতে থাকেন। এরপর একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ শুরু করেন অর্চনা। কিছুদিন পর ভুবনেশ্বরের একটি বিউটি পার্লারে কাজে যোগ দেন। আর সেখানেই তাঁর সঙ্গে আলাপ বালেশ্বরের বাসিন্দা জগবন্ধু চাঁদের (Jagabandhu Chand)। ধীরে ধীরে প্রেম ও পরে ২০১৮ সালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আর নিজের বিউটি পার্লারেই অর্চনা শুরু করেন মধুচক্র। এদিকে স্বামী জগবন্ধুর একটি পুরোনো গাড়ি বিক্রির শোরুম ছিল। তাঁর দৌলতে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে শিল্পপতি, ব্যবসায়ী এবং চলচ্চিত্র প্রযোজকদের মতো ধনী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয় জমে তাঁর।

আরও পড়ুন- মানুষের ভালবাসা তৃণমূলের প্রতি: কাঁথি-সহ ৩ জায়গায় দলের বিজয়া সম্মিলনীতে জনজোয়ার

Previous articleটি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু ভারতের, ব্রিসবেন পৌঁছাল দল
Next articleEmirates Airbus A380: বেঙ্গালুরুর মাটি ছুঁল বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী বিমান