Thursday, November 13, 2025

৭১-এর হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’র স্বীকৃতি দেওয়া হোক, প্রস্তাব মার্কিন মুলুকে

Date:

বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে পাকিস্তান সরকারকে। সম্প্রতি আমেরিকার নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি সভায় (হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস), বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে সেখানকার ‘বাঙালি জাতি, প্রধানত হিন্দু ধর্মীয়দের’ উপরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে ভয়াবহ নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল, তাকে ‘গণহত্যা’ (জেনোসাইড) হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপিত হয়।শাসক ডেমোক্র্যাট পার্টির ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতা রো খন্না এবং বিরোধী রিপাবলিকান পার্টির স্টিভ সাবো— আমেরিকার প্রতিনিধি সভার দুই প্রভাবশালী সদস্য যৌথ ভাবে এই প্রস্তাবটি আনেন। সেই প্রস্তাবেই ‘গণহত্যা’র জন্য পাকিস্তান সরকারের ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি তোলা হয়।

আরও পড়ুন:বুচা গণহত্যা: স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি মোদি- বাইডেনের

১৯৭১-এর মার্চে  বাঙালীদের উপর ভয়াবহ অভিযান চালায় পাকিস্তানি সেনারা। অভিযানটির নাম দেওয়া হয়  ‘অপারেশন সার্চলাইট’। বাংলাদেশজুড়ে ভয়ানক হত্যাকাণ্ড চালায় তারা। নৃশংসভাবে খুন করা হয় বহু মানুষকে।  বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন এই হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দানের লক্ষে সচেষ্ট, যাতে অর্ধ শতাব্দী পরেও খলনায়কদের চিহ্নিত করে আদালতে বিচার করা যায়।

ওহায়োর সদস্য স্টিভ সাবো প্রস্তাবটি পেশ করে টুইটে লিখেছেন, ‘আজকের বাংলাদেশে পাকিস্তানের সেনারা যা ঘটিয়েছিল, তা নাৎসিদের ইহুদি হত্যার মতো গণহত্যাই। বহু লক্ষ মানুষকে তারা হত্যা করেছিল, যাদের প্রায় সকলেই বাঙালি এবং ৮০ শতাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।’ সাবো লিখেছেন, ‘একাত্তরের এই গণহত্যাকে ভুলে যেতে দেওয়া যায় না। নিহতদের স্বজনদের অনুভূতির বিষয়টি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। এমন ভয়ঙ্কর অপরাধ যারা করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি দিয়ে এমন ঘটনা আর যাতে না-ঘটে তা নিশ্চিত করতে সবার আগে পাকিস্তানি সেনাদের এই দুষ্কর্মকে গণহত্যা বলে সরকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে।’ যদিও একাত্তরের যুদ্ধে আমেরিকা পাকিস্তানের সমর্থনে অবস্থান নিয়েছিল।গণহত্যাকে আড়াল করতেও সচেষ্ট ছিল তখনকার প্রশাসন।

পেশ করা প্রস্তাবে এ-ও বলা হয়েছে, ১৯৭১-এর ২৮ মার্চ ঢাকার আমেরিকার কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাড ঘটনাপ্রবাহকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক গত মাসেই আহ্বান জানিয়েছিলেন, নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর পাক সেনার ভয়াবহ অত্যাচার এবং নির্মম নিধনলীলাকে গণহত্যার তকমা দিতে এগিয়ে আসুক আন্তর্জাতিক সমাজ। ২৫ মার্চ দিনটিকে বাংলাদেশ ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Related articles

“রিচার নামে স্টেডিয়াম ইতিহাস হয়ে থাকবে”, উচ্ছ্বসিত ঝুলন

শিলিগুড়িতে রিচা ঘোষের(Richa Ghosh)  নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে শিলিগুড়িতে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের নামে...

‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র ট্রেলার-পোস্টার লঞ্চে ‘বাবা-মেয়ে’র রসায়নে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণী

অর্ণব মিদ্যার ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-র ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চের জমজমাট অনুষ্ঠান হল ফ্লোটেলে। বৃদ্ধ বাবা ও...

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...
Exit mobile version